কোপা আমেরিকায় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। তখনই ভাবা হচ্ছিল, এর জন্য সেমির জন্য বড় কোন শাস্তি অপক্ষো করছে। তবে শেষ পর্যন্ত অল্পতেই রক্ষা পেলেন তিনি। এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দেড় হাজার ডলার (১ লাখ ২৭ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়েছে।
কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে হেরে যাওয়ার পর কনমেবলকে ধুয়ে দেন মেসি। তিনি দাবি করেন, স্বাগতিক ব্রাজিলকে শিরোপা জেতাতে সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই করছে কনমেবল। এরপর তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর বার্সেলোনা তারকা দাবি করেন, কনমেবলের সমালোচনা করেছিলেন বলে তাকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। যদিও ওই ম্যাচে মেসি লাল কার্ড পাওয়ার মতো অপরাধ করেননি বলে অনেকেই দাবি করেন। লাল কার্ড পাওয়ার ক্ষোভে কোপায় তৃতীয় হওয়ার পদকও নেননি মেসি।
পদক না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলে লাতিন ফুটবল সংস্থাকে (কনমেবল) একহাত নেন মেসি। বলেন, ‘এমন দুর্নীতিগ্রস্ত আয়োজনের অংশ হওয়াকে অনুচিত বলে মনে করি। আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের ফাইনালে যেতে দেওয়া হয়নি। দুর্নীতি, রেফারি এবং অন্যান্য বিষয়ের জন্য লোকে ফুটবল উপভোগ করতে পারে না।’
এদিকে কনমেবলকে সরাসরি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ সংস্থা বলায় দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থার মারাত্মক সম্মানহানি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। যার ফলেই মেসির ওপর কঠোর শাস্তির খড়্গ নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। যদিও এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন মেসি।
চিলির বিপক্ষে তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ায় এমনিতেই মেসির ওপর এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ছিল। কনমেবল মঙ্গলবার এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পাশাপাশি শুধু জরিমানার অংক যোগ করেছে পাঁচবারের বর্ষসেরা এ ফুটবলারের বিরুদ্ধে।
এদিকে মেসিকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রধান ক্লদিও তাপিয়ার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে কনমেবল। ফিফা কাউন্সিল থেকে তাপিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, গত ৩ জুলাই প্রকাশিত এক চিঠিতে কনমেবলের সমালোচনা করেছিলেন তাপিয়া।