ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনাকে কোন সুখবর দিতে পারেনি। কোপা ডেল রে’র কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানেয়লেন কাছে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে সফরকারী বার্সাকে।
ম্যাচ শেষে দুই মিনিট আগে মার্ক নাভারোর লো ক্রসে ওস্কার মেলেন্ডোর গোলে কাতালান ডার্বিতে এস্পানেয়লের জয় নিশ্চিত হয়। এর আগে ৬২ মিনিটে মেসি পেনাল্টি মিস করায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি কাতালান জায়ান্টদের।
ম্যাচ শেষে বার্সার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সার্জিও বাসকোয়েটস বলেছেন, ‘আমরা জানতাম এই দিন একদিন আসবে। আমরা ম্যাচটি ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আজকের দিনটি কার্যত আমাদের ছিল না। তবে ভালো দিক হচ্ছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি আমাদের মাঠে, সেখানে ফিরে আসার যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে। এটা সৌভাগ্যই বলতে হয়। যা কিছুই হোক না কেন জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে।’
ম্যাচে বার্সেলোনা সুযোগ কম পেয়েছে। তবে সার্জি রবার্তোর আদায় করা পেনাল্টি থেকে বার্সেলোনার জয় প্রায় নিশ্চিতই মনে হয়েছিল। কিন্তু এস্পানেয়ল গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেজকে পরাস্ত করা মেসির সাধ্য ছিল না। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের শক্তিশালী শটটি বামদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেছেন লোপেজ।
এরপর ৮৩ মিনিটে নাভারো দারুন এক ফ্রি-কিকে স্বাগতিকদের প্রায় এগিয়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু এ যাত্রা বার্সাকে রক্ষা করেন জাসাপার সিলিসেন। কিন্ত পাঁচ মিনিট পরে আর শেষ রক্ষা হয়নি। মেলেন্ডোর গোলে ৯ বছরে বার্সেলোনার বিপক্ষে এস্পানেয়লের প্রথম জয় নিশ্চিত হয়।
ম্যাচ শেষে এস্পানেয়ল কোচ কুইকে সানচেজ বলেছেন, এই জয়টা ক্লাবের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর মাধ্যমে সব বাধা দূর হলো। বার্সেলোনার বিপক্ষে শেষ কবে এস্পানেয়ল জিতেছিল সেসবই এতদিন পর্যন্ত ইতিহাস ছিল। কিন্তু এখন দল ফিরে এসেছে। আমরা সবাই অত্যন্ত খুশি।
এদিকে দিনের অপর ম্যাচে বার্সেলোনার মতই হোঁটট খেয়েছে আরেক জায়ান্ট অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। দিয়েগো কস্তার তিন ম্যাচে চতুর্থ গোলেও অ্যাথলেটিকোর পরাজয় এড়ানো সম্ভব হয়নি। ওয়ান্ডা মেট্রোপালিটানোতে ঘরের মাঠে কস্তার গোলে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত সেভিয়ার কাছে ২-১ গোলে হার মানতে হয়েছে অ্যাথলেটিকোকে।
গেতাফের বিপক্ষে লিগে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে গোল করার পরে অশোভন আচরণ করায় কস্তাকে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছিল। যে কারণে এইবারের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তিনি দলে ছিলেন না। তবে পুনরায় দলে ফিরেই ৭৩ মিনিটে সেভিয়া গোলরক্ষক সার্জিও রিকোকে পরাস্ত করে অ্যাথলেটিকোকে এগিয়ে দেন। কিন্তু সাত মিনিট পরে দারুন এক ক্রস থেকে প্রথমে ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজ এবং এরপর গোলরক্ষক মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল মোয়ার কল্যাণে আত্মঘাতি গোলে সমতায় ফিরে সেভিয়া। ৮৮ মিনিটে উইসাম বেন ইয়েডেরের সহযোগিতায় জোয়াকুইন কোরিয়া সেভিয়ার জয় নিশ্চিত করেন। এর মাধ্যমে নতুন কোচ ভিনসেনজো মনটেলার অধীনে তৃতীয় জয় তুলে নিল সেভিয়া।