নেইমার না থাকায় ফিলিপি কৌতিনিউ উপর নিজ দেশ ব্রাজিলের জন্য দায়িত্বটা অনেক। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড এ চাপে ভেঙে পড়েননি, বরং জাতীয় দলের জার্সিতে জোড়া গোল করে কোপা আমেরিকার মিশনের শুরুতেই ব্রাজিলকে জয় উপহার দিল।
ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ বলিভিয়ার বিপক্ষে ফিলিপি কৌতিনিউর জোড়া গোলের সঙ্গে এভারটনের এক গোলে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় শুভসূচনা করেছে ব্রাজিল।
কোপা আমেরিকার ইতিহাসে এটি ব্রাজিলের ১০০তম জয়। এখন পর্যন্ত ১৭৯ ম্যাচ খেলে ৩৫ ড্র ও ৪৪ পরাজয়ের বিপরীতে ঠিক ১০০ জয় পেয়েছে ব্রাজিল। আর বলিভিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো তিতের শিষ্যরা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে একের পর এক গোল মিসের হতাশায় ভুগেছে স্বাগতিকরা। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই কৌতিনিউর ফ্রি কিক থেকে এগিয়ে যেতে পারতো ব্রাজিল। কিন্তু বলিভিয়ার ডি-বক্সের মধ্যে জটলা পাকিয়ে গোলের সে সুযোগ নষ্ট করে সেলেসাওরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ব্রাজিলিয়ানদের। ঘরের মাঠে বলিভিয়ার বিপক্ষে শেষ ১১ ম্যাচে যাদের ৪৬ গোল, সে ব্রাজিলের পক্ষে তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন কৌতিনিউ।
প্রথম গোলটা অনেকটাই ভাগ্যের সহায়তায় পাওয়া। রিসার্লিসনের শট ডি-বক্সের মধ্যে বলিভিয়ার ডিফেন্ডার জুসিনোর হাতে লাগলে ভিএআরের সহায়তা নেন রেফারি। সেখান থেকে বাজান পেনাল্টির বাঁশি। গোলরক্ষকের ডানদিক শট করে দলকে এগিয়ে দেন কৌতিনিউ।
ব্যবধান বাড়াতে একদমই সময় নেননি ২৭ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডার। এবারও গোলে অবদান রাখেন রিসার্লিসন। তার কাছ থেকে পাস পেয়ে ডানপ্রান্ত থেকে ডি-বক্সে কৌতিনিউর উদ্দেশ্যে বল বাড়িয়ে দেন ফিরমিনো। বল পেয়ে সরাসরি হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৌতিনিউ।
ব্রাজিলের জার্সি গায়ে এটি কৌতিনিউর দ্বিতীয় জোড়া গোল। এর আগে ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকায় হাইতির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার আর কোনো প্রয়াসই করতে পারেনি বলিভিয়া। উল্টো ৮৫তম মিনিটে এভারটনের দুর্দান্ত গোলে পরাজয়ের ব্যবধান বড় হয়।
ম্যাচের ৮১তম মিনিটে ডেভিড নেরেসের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন এভারটন। তার চার মিনিট পড়েই তিনি পেয়ে যান জালের দেখা। ফার্নান্দিনহোর কাছ থেকে বল পেয়ে পুরোপুরি একক নৈপুণ্যে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে গোল করেন এভারটন।
এ জয়ে নিজ দেশে কোপা আমেরিকায় জয় দিয়ে শুভসূচনা করলো ব্রাজিল। ২০১৬ সালে সবশেষ কোপা আমেরিকায় প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়া দলটি এবার খেলতে নেমেছে অন্যতম ফেবারিট হিসেবেই।
নিজেদের ঘরের মাঠে আয়োজিত এর আগে চার আসরেই (১৯১৯, ১৯২২, ১৯৪৯ এবং ১৯৮৯) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল।