দুই মৌসুম ধরে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও শিরোপা ছুঁতে পারছিল না ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। শিরোপার কাছে গিয়েও বারবার ফিরেছে খালি হাতে। সেই কাঙ্ক্ষিত শিরোপা অবশেষে এলো নিজ ঘরে। মোহামেদ সালাহ ও ডিভক অরিগির গোলে ১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতলো লিভারপুল।
মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় শিরোপা লড়াইয়ে ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। দ্বিতীয় মিনিটে মোহামেদ সালাহর পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় তারা। বাকি গোলঠি করেছে ডিভক অরিগি।
লিভারপুল সর্বশেষ ২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল। গত আসরে ফাইনালে উঠে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল তাদের। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। লিভারপুলের চেয়ে বেশি শিরোপা রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ (১৩) এবং এসি মিলানের (৭)।
শনিবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণে ওঠে অলরেডরা। ডি-বক্সের মধ্যে শট নেন সাদিও মানে, কিন্তু তা প্রতিহত হয় টটেনহামের ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার মৌসা সিসোকোর হাতে লেগে। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
গোলের মাত্র ১২ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করতে একদমই ভুল করেননি লিভারপুলের তারকা খেলোয়াড় মোহামেদ সালাহর। রাবা মাজের, স্যামুয়েল ইতো, দিদিয়ের দ্রগবা এবং সাদিও মানের পর পঞ্চম আফ্রিকান ফুটবলার এবং প্রথম মিশরিয়ান ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে গোল করেন সালাহ।
এছাড়া ১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে করা এ গোল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচের ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। এ তালিকায় এক নম্বর রয়েছে পাওলো মালদিনির। ২০০৫ সালের ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষেই মাত্র ৫০ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন এসি মিলানের এ ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় দুই দলই এলোমেলোভাবে খেলেছে। কোন দলই গোছানো ফুটবল উপহার দিতে পারেনি। গোলের আশায় দুই কোচই একাধিক পরিবর্তন এনেছেন। ম্যাচের একদম শেষ দিকে ৮৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে লিভারপুল।
রবার্ট ফিরমিনোর বদলি হিসেবে নামা ডিভক অরিগির পা থেকে আসে এ জয় সূচক গোলটি। জেমস মিলনারের কর্নার থেকে জটলায় পড়ে যায় বল, সেখান থেকে খালি জায়গায় বল পেয়ে অলরেডদের আনন্দে ভাসান অরিগি।
চলতি আসরের সেমিফাইনালে জোড়া গোল করা অরিগি ফাইনালে করেন আসরে নিজের তৃতীয় গোল। ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় বেলজিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে গোল করেন তিনি। এছাড়াও চলতি আসরে তার করা ৩টি শটের পরিণতিই ছিল গোল।
অরিগির গোলের পরও অতিরিক্তি যোগ করা ৫ মিনিটে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এতে অবশ্য কিছুই করতে পারেনি টটেনহাম। সময় শেষে ২-০ গোলে ম্যাচ জিতে শিরোপা উল্লাসে মাতে লিভারপুল।
A moment we'll never forget.#SixTimespic.twitter.com/7L5Xv1qstW
— Liverpool FC (@LFC) June 1, 2019