টাইব্রেকারে পেনাল্টি থেকে এডেন হ্যাজার্ডের জয়সূচক লক্ষ্যভেদী শটে আইন্ত্রাখত ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে চেলসি। চতুর্থ ইংলিশ ক্লাব হিসেবে এই মৌসুমের ইউরোপিয়ান ফাইনালে পৌঁছালো তারা।
আগামী ২৯ মে বাকুতে দলটি মুখোমুখি হবে লন্ডন ক্লাব আর্সেনালের। পিয়েরে এমেরিক অবেমেয়াংয়ের হ্যাটট্রিকে বৃহস্পতিবার শিরোপার লড়াই নিশ্চিত করে গানাররা।
এক সপ্তাহ আগে ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে ঘরে ফেরে চেলসি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজেও একই স্কোর হয়। আধঘণ্টা যেতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় চেলসি। ফ্রাঙ্কফুর্টের বাঁদিকের ডিফেন্স ভেদ করে হ্যাজার্ড নিখুঁত পাস দেন রুবেন লোফটাস চিককে। ২৮ মিনিটে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে বল জড়ান ইংলিশ মিডফিল্ডার। কিন্তু বিরতির পর তৃতীয় মিনিটে মিজাত গাচিনোভিচের সঙ্গে ওয়ান-টু পাসে চেলসির রক্ষণ ভেঙে দারুণ গোলে সমতা ফেরান লুকা জোভিচ।
২০১৩ সালের ইউরোপা লিগ বিজয়ীদের চেপে ধরে ফ্রাঙ্কফুর্ট। অ্যাওয়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। জোভিচ, আন্তে রেবিচ ও ড্যানি দা কোস্তা স্বাগতিকদের রক্ষণে আক্রমণ চালায়। অন্যদিকে অলিভিয়ের জিরুদ, উইলিয়ান ও বদলি নামা দাভিদ জাপাকোস্তা নির্ধারিত সময়ের শেষ ২০ মিনিটে কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে।
অতিরিক্ত সময়ে লুইজ ও জাপাকোস্তাকে গোললাইন থেকে প্রতিহত করে ফ্রাঙ্কফুর্টের বদলি নামা সেবাস্তিয়ান হায়ার। তাছাড়া রস বার্কলে ও গনসালো হিগুয়েইন সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হন চেলসিকে এগিয়ে দিতে। ১১৫ মিনিটে বল জালে জড়িয়ে উদযাপনে মাতেন চেলসির আজপিলিকুয়েতা, কিন্তু গোলরক্ষক কেভিন ট্র্যাপকে ফাউল করায় গোলটি বাতিল হয়।
পেনাল্টি শুটআউটে চেলসির দ্বিতীয় শটে অধিনায়ক আজপিলিকুয়েতা লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। শেষ দিকে জয়ের নায়ক হন স্বাগতিক গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা। টাইব্রেকারে মার্টিন হিনটেরেগার ও গনসালো পাকিয়েনসিয়াকে রুখে দেন তিনি। আর শেষ শটে চেলসিকে ফাইনালে নিয়ে যান হ্যাজার্ড।
অবেমেয়াংয়ের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে আর্সেনাললন্ডনে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৩-১ গোলে প্রথম লেগ জিতেছিল আর্সেনাল। দ্বিতীয় লেগেও দাপুটে জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৩ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনাল নিশ্চিত করলো উনাই এমেরির দল। ১৩ বছরে প্রথমবার স্পেনের মাটিতে জয় উচ্ছ্বাস করলো তারা। এর আগে সবশেষ ২০০৬ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তারা জিতেছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
কেভিন গামেইরোর গোলে ১১ মিনিটে এগিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। ১৭ মিনিটে সমতা ফেরান অবেমেয়াং। বিরতির পর আলেক্সান্দ্রে ল্যাকাজেত্তের ৫০ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। কিন্তু ৮ মিনিট পর গামেইরোর গোলে আবার ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। এরপর ৬৯ ও ৮৮ মিনিটে অবেমেয়াংয়ের হ্যাটট্রিক গোলে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় গানাররা।