আগের দিন বার্সার বিপক্ষে মিশন ইম্পসিবল কমপ্লিট করে ফাইনালে উঠে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিল লিভারপুল। অপেক্ষায় ছিল প্রতিপক্ষের জন্য। অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষে জানা গেল তাদের প্রতিপক্ষ আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার।
এর মধ্য দিয়ে ২০০৭-০৮ আসরের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ‘অল ইংলিশ ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে ফুটবলপ্রেমীরা। এর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল।
অথচ ম্যাচটি কিন্তু একেবারেই সহজ ছিল না। নিজেদের মাঠ ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনাতে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই গোল পায় তারুণ্য নির্ভর আয়াক্স। চতুর্থ মিনিটে দুসান তাদিচেনের শট ফিরিয়ে দেয়ায় কর্নার পায় আয়াক্স। পাওয়া কর্ণার থেকেই হেড দিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক ডি লিট। এ গোলের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে চতুর্থ টিনএজার হিসেবে গোল করলেন ডি লিট।
এরপর ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফাইনাল চোখের সামনে দেখতে পায় আয়াক্স। স্পার্সদের ডি-বক্সের ভিতরে বাম পাশ থেকে দুসান তাদিচের পাস থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের জোরালো শটে বল লক্ষ্যভেদ করেন হাকিম জিয়েক।
দুই লেগ মিলে তিন গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পরই নিজেদের ফিরে পাওয়ার মিশনে আক্রমণের ধার বাড়ায় স্পার্সরা। এর সুবাদে ৫৫তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় টটেনহ্যাম।মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে ছুটে একজনকে কাটিয়ে সামনে বাড়ান ডেলে আলি। সেই বল দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে নিচু শটে ব্যবধান কমান লুকাস মউরা।
এর তিন মিনিট পর আবার মউরার আঘাত। টটেনহ্যামের আক্রমণ ঠোকাতে গিয়ে গোলরক্ষক বল পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফসকে যাওয়া বল জটলায় দাঁড়িয়ে থাকা মউরা বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি।
অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে নাটকীয়তার জন্ম দেয় ম্যাচটি। ডেলে আলীর পাস থেকে ডি-বক্সের ভিতরে বল পেয়ে বাম পায়ের শটে বল ডান পাশ দিয়ে আয়াক্সের জালে পাঠিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে দলকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন তিনি।
শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে স্পার্স। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ৬ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা ইংল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।