শিরোনাম দেখে চমকে উঠলেন? চমকে উঠারই কথা। কারণ ফুটবল দুনিয়া এখন পর্যন্ত ফুটবল ঈশ্বর হিসেবে চিনে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী দিয়াগো ম্যারাডোনাকেই। তবে কী তিনি স্থানচ্যুত হলেন?
আসলে এমন কিছুই না। এখন পর্যন্ত ফুটবল বিশ্ব তাকে ফুটবল ঈশ্বরের আসনে না বসালেও একজন কিন্তু ঠিকই সেই আসনে জায়গা দিয়েছেন লিওনেল মেসিকে। তিনি আর কেউ নন স্পেশাল ওয়ান খ্যাত কোচ হোসে মরিনহো।
চ্যাম্পিয়ন লিগের সেমির প্রথম লেগে ক্যাম্প ন্যুয়ে মেসির কারিকুরির কাছেই পর্যদুস্ত লিভারপুল। আর এমন ঝলমলে পারফরম্যান্সের পর প্রশংসায় মেতেছেন মরিনহো। ম্যাচজুড়ে মেসির পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে গিয়েই মেসিকে ফুটবল ঈশ্বরের আসনে বসান রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এ কোচ।
শনিবার (৪ মে) সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডেকে (আরটি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মরিনহো প্রশংসার জোয়ারে ভাসান বার্সেলোনার অধিনায়ককে।
অথচ তাকে আটকানোর জন্য অনেক ছক কাটতে হয়েছিল মরিনহোর। কখনো তিনি সফল ছিলেন কখনো ছিলেন বিফল। রিয়ালের কোচ থাকাকালীন মেসির স্তুতি গাইতেন। সেসময় কিছুটা খোলসে থেকে করলেও এখন একেবারেই খোলস ছাড়া মন্তব্য তার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এ কোচের ভাষ্য, লিভারপুল গোটা ম্যাচে অনেক ভালো খেললেও সব নিষ্ফল করে দিয়েছে মেসিই। পুরো খেলায় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ফুটবল ঈশ্বর (মেসি)।
বার্সেলোনার ৩-০ জয়ে মেসির ২ গোলে বিস্মিত পর্তুগিজ ক্রীড়াভাষ্যকার মরিনহো বলেন, মেসি যা করেছে তা একেবারেই অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি, খেলার ফলাফলটা সেই গড়ে দিয়েছে।
তবে লিভারপুলকেও ধন্যবাদ দিতে কুন্ঠাবোধ করেননি তিনি। তার ভাষ্য, লিভারপুল যে মনোভাব নিয়ে খেলেছে, সেটা সাহসী ছিল। কারণ আমার মনে হয় না চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্যাম্প ন্যুতে বল পায়ে রাখার হিসাবে খুব বেশি দল বার্সেলোনার ওপরে থেকেছে। তারা সেদিক থেকে অনেক অনেক ইতিবাচক ছিল। সেজন্য তারা তিনটি বড় সুযোগও পেয়েছিল।
মরিনহো বলেন, (ক্যাম্প ন্যুতে) যখন ২-০ ব্যবধানও ছিল, তখনো লিভারপুলের জন্য সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা যখন শেষটা মিস করে ৩-১ করার সুযোগও খোয়ালো, তখন আমাকে সোজাসুজি বলতেই হবে ৩-০ ব্যবধান মানে ৩-০।
যদিও নিকট অতীতে প্রথম লেগে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয় লেগে হেরে বিদায় নেওয়ার অভিজ্ঞতা বার্সেলোনার আছে, তবু মরিনহো মনে করেন, খেলায় বার্সেলোনা একটি গোল করে ফেললে লিভারপুলকে করতে হবে ৫টি।
আগামী ৮ মে বার্সেলোনা সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে অলরেডসদের বিপক্ষে নামবে ইংলিশ ক্লাবটির মাঠ অ্যানফিল্ডে। সেই ম্যাচে লিভারপুলের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা ক্ষীণই মনে করেন চেলসির একসময়ের কোচ।