হারের শঙ্কায় পড়েও লিভারপুলকে জয় এনে দিয়েছেন বদলি খেলোয়াড় ডিভক ওরিগি। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মাঠে দুইবার এগিয়ে গিয়েও পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়েছিল লিভারপুল। এ জয়ে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখলো ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
শনিবার নিউক্যাসলের মাঠে স্বাগতিকদের ৩-২ গোলে হারায় লিভারপুল। জর্দান শাকিরির ফ্রি-কিক থেকে দারুণ হেডে ৮৬তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন সালাহর বদলি নামা ওরিগি।
ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন সালাহ। এ সময় স্কোরবোর্ডে ছিল ২-২ সমতা। প্রথমার্ধে ভার্র্গিল ফন ডিক ও মিশরীয় ফরোয়ার্ড সালাহর গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল লিভারপুল।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন ফন ডিক। আলেক্সান্ডার অরনল্ডের ফ্রি-কিক থেকে দৌড়ে এসে দারুণ হেডে গোলটি করেন অরক্ষিত অবস্থায় থাকা অধিনায়ক।
এগিয়ে থাকার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সফরকারীদের। কাছ থেকে স্কোরবোর্ডে সমতা ফেরান স্বাগতিক খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ান আৎসু। ২৮তম মিনিটে অরক্ষিত সালাহ দারুণ ভলিতে আবারও দলকে এগিয়ে নেন। চলতি লিগে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে সবার আগে থাকা সালাহর এটি ২২তম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে প্রতিপক্ষের কর্নার বিপদমুক্ত করতে পারেনি লিভারপুল। সেই সুযোগে দলকে সমতায় ফেরান রনডন। এই গোলে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার স্বপ্ন দেখছিল নিউক্যাসল। কিন্তু শেষ দিকে ওরিগির গোল তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে দেয়।
এ জয়ে আনফিল্ডের দলটি ম্যানচেস্টার সিটির উপর চাপ অব্যাহত রাখলো। প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা নিষ্পত্তি হবে শেষ রাউন্ডে। সোমবার লেস্টার সিটির বিপক্ষে পরীক্ষা দিতে হবে পেপ গার্দিওলার দলকে।
৩৭ ম্যাচে ২৯ জয়, ৭ ড্র ও একমাত্র হারে ৯৪ পয়েন্ট লিভারপুলের। ৩৬ ম্যাচে ৩০ জয়, ২ ড্র ও ৪ হারে ৯২ পয়েন্ট শিরোপাধারী ম্যান সিটির।