গ্রুপ সেরা হতে ড্রই যথেষ্ট বাংলাদেশের জন্য। তবে তাতে সন্তুষ্ট থাকতে চান না স্বাগতিক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। কিরগিজস্তানের বিপক্ষে জয়ই তার একমাত্র চাওয়া।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড কাপে ‘বি’ গ্রুপের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আগেই সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করা দুই দলের মধ্যে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল। একই দলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছিল কিরগিজস্তান।
কিরগিজস্তানের সঙ্গে ড্র করলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গ্রুপ সেরা হবে বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষকে সমীহ করে রব্বানী জানালেন জয়ের লক্ষ্য।
“আমরা সেমি-ফাইনালে উঠে গেছি, কিন্তু আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলব। ড্র হলেও আমরা গ্রুপ সেরা হবে। কিন্তু আমরা জয় চাই।
“কিরগিজস্তানের খেলোয়াড়রা শারীরিকভাবে শক্তিশালী। ওরা লম্বা। আমাদের খেলোয়াড়রা ওদের মতো লম্বা নয়। এটা একটা সমস্যা। তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে শারীরিক লড়াইয়ে না গিয়ে গতিময় খেলে ম্যাচ বের করে নেওয়া। আশা করি মেয়েরা ভালো খেলবে এবং ম্যাচটা জিতবে।”
২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে কিরগিজস্তানকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। তবে রব্বানী স্কোরলাইন নিয়ে ভাবছেন না।
“বয়সভিত্তিক পর্যায়ে এর আগে আমরা ওদের সঙ্গে একবারই খেলেছি। ১০-০ গোলে জিতেছিলাম। তবে ওই ম্যাচের পর তিনটা বছর পার হয়েছে। ওরাও আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। এ ম্যাচে তাই স্কোরলাইন নিয়ে ভাবছি না।”
আরব আমিরাতের বিপক্ষে গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছিলেন দুই ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না ও কৃষ্ণা রানী সরকার। গত তিন দিনে আগের ম্যাচের ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান কোচ।
“তিন দিন আমরা বিশ্রাম পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। এই তিন দিনে থিওরিটিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। আরব আমিরাতের বিপক্ষে যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। মেয়েদের সেগুলো বোঝানো হয়েছে।”
আরব আমিরাত-কিরগিজস্তান ম্যাচ মারিয়া মান্ডা-কৃষ্ণারা দেখেছেন টিভিতে। সেই দেখা থেকে সতীর্থদের গোল পাওয়ার উপায় জানালেন মারিয়া।
“ওরা ওপরের দিকে উঠে আসে। এই সুযোগটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। ওই সময় যদি আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের বল সরবরাহ করা যায়, তাহলে তারা সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে।”
প্রথম ম্যাচের গোলদাতা কৃষ্ণার লক্ষ্য দুটি, “আমি যেহেতু ফরোয়ার্ড, অবশ্যই গোল করতে চাইব। যদি নিজে গোল না পাই, তাহলে সতীর্থদের দিয়ে গোল করাব।”