নু ক্যাম্পের সবচেয়ে সফলতম খেলোয়াড় লিওনেল মেসির নামের সঙ্গে যত বিশেষণ যোগ করা হোক না কেন তা কম হবে। চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটকে আতিথেয়তা দেয় বার্সেলোনা।
প্রতিপক্ষের সাজানো বাগান তছনছ করে দিয়ে অধিনায়কের জোড়া গোলে মঙ্গলবার ৩-০ গোলে জয় পায় স্বাগতিকরা। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছালো স্প্যানিশ জয়ান্টরা। দলের হয়ে আরেকটি গোল করেছেন ফিলিপে কুতিনহো।
ঘরের মাঠে প্রথম লেগে এক গোলে পিছিয়ে থেকে এদিন বার্সার মাঠ নু ক্যাম্পে খেলতে আসে ইউনাইটেড। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তিনবারের ইউরোপ সেরাদের।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসির পা থেকে আসে জোড়া গোল। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার হয়ে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন কুতিনহো। এতে ২০১৪-১৫ মৌসুম পর শেষ আটের বাধা পার করতে সক্ষম হলো ব্লাউগ্রানারা।
যদিও এদিন ম্যাচের শুরুর দিকেই ম্যানইউ’র হয়ে খেলা ইংলিশ তারকা মার্কাস র্যাশফোর্ডের শট গোল পোস্ট কাঁপিয়ে চলে যায়। এরপর বার্সার বিরুদ্ধে একটি পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েও ভিএআরের সাহায্য নিয়ে তা বাতিল করেন রেফারি।
১৬ মিনিটে একক দক্ষতায় গোল করে বার্সাকে ম্যাচে প্রথমবারের জন্য এগিয়ে দেন মেসি। চার মিনিট পর রেড ডেভিলসদের স্প্যানিশ গোলকিপার ডি গিয়াকে বোকা বানিয়ে চলতি মৌসুমে নিজের দশম গোলটি তুলে নেনে পাঁচবারের ব্যালন ডি’ অর জয়ী। কার্যত এখানেই নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সার শেষ চার।
বিরতির পর মাঠে নামে সফরকারীদের ওপর আরও চড়াও হয় আর্নেস্তো ভালভার্দের শিষ্যরা। ৬৪ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সেরে বাইরে থেকে অসাধারণ গোলে উপহার দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা কুতিনহো। এতে ম্যাচে প্রতিপক্ষের ফিরে আসার সব ধরনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলে জয় নিশ্চিত হয় স্পেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ ব্যবধানে জিতে ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্টে শেষ চার নিশ্চিত করল মেসির দল।