‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব শিখিয়েছেন বাঙালি নারী হার মানতে জানে না। আর তাই হার মানেনি দুরন্ত আমেনা। সর্বপ্রকার বাঁধা উপেক্ষা করে আগে বাড়ছে অদম্য মারিয়া।
ভয়কে চুরমার করে এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য সালমা’- দেশের নারী ফুটবলারদের এগিয়ে যাওয়ার গল্পটা এভাবেই বর্ণনা করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ৩ মে ঘরের মাঠে বসতে যাচ্ছে ৬ জাতির বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট। সোমবার টুর্নামেন্টের থিম ভিডিও উন্মোচন করা হয়েছে।
ভিডিওতে মহায়সী নারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের কর্মজীবনের সংক্ষিপ্ত আলোকপাতের পাশাপাশি, সর্বক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার চমৎকার বর্ণনা দেন কণ্ঠশিল্পী বন্যা।
‘এগিয়ে যাওয়ার নেই মানা’- এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাফুফে এবং পৃষ্ঠপোষক কে- স্পোর্টস প্রথমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে নারীদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক ফুটবল আসর বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ।
বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লাওস, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং মঙ্গোলিয়া এতে অংশ নিবে। দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলগুলো লড়াইয়ে নামবে। টুর্নামেন্টের গ্রুপ এবং সূচি আগেই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তান। ‘এ’ গ্রুপে অপর তিন দল।
২২ এপ্রিল আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে মারিয়া, মৌসুমিরা। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। দেশের দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ছাড়াও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে খেলা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
তিনটি লক্ষ্য সামনে রেখে টুর্নামেন্ট করতে যাচ্ছে পৃষ্ঠপোষক কে-স্পোর্টস। বঙ্গমাতার ভূমিকাকে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা, নারীদের অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরা এবং নারী ফুটবলের উন্নতি, উন্নয়ণের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা। কে- স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী কর্তা ফাহাদ করিম থিম ভিডিও প্রকাশ অনুষ্ঠানে এমন কথাই জানান।
নারী ফুটবল এবং বঙ্গমাতার নামে টুর্নামেন্ট- এ মহৎ কাজের অংশ হতে পেরে খুশি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাও। প্রথমবারের মতো বাফুফে ভবনে পা রাখা প্রখ্যাত এ শিল্পী জানান, ‘এমন একটা কাজের অংশ হতে পেরে এবং আমাকে সম্পৃক্ত করায় বাফুফে ও কে-স্পোর্টসকে ধন্যবাদ। ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি নারীদের প্রমাণের অনেক বড় একটা প্লাটফর্ম। ধর্মীয় গোঁড়ামি, আর্থিক সংকট- সব সীমাবদ্ধতাকে পেছনে ফেলে ফুটবলই হতে পারে নারীদের প্রমাণের বড় মঞ্চ।’