২০৫০ সালে মধ্যে বিশ্ব ফুটবলে অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের লক্ষ্যে এশিয়ার মধ্যে প্রথম ও বিশ্বের মধ্যে ষষ্ঠ সেরা ঘরোয়া লিগ আয়োজন করতে চায় চীন।
সাম্প্রতীক সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন বড় তারকা ও কোচদের লোভনীয় চুক্তির বিনিময়ে বিভিন্ন ক্লাবে ভিড়িয়ে চাইনিজ সুপার লিগ (সিএসএল) ইতোমধ্যেই ফুটবল বিশ্বের হেডলাইডে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাইনিজ খেলোয়াড়রা তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে না।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে চাইনিজদের অবস্থান ৭২তম স্থানে। মেজর ইউরোপীয়ান লিগে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এস্পানেয়লে খেলে থাকেন ফরোয়ার্ড উ লেই।
চাইনিজ ফুটবল এসোসিয়েশন (সিএফএ) ও দেশের ফুটবল পাগল রাষ্ট্রপতি জি জিনপিংয়ের ফুটবল নিয়ে বিশাল পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে চায়নায় বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বপ্ন রয়েছে। সেক্ষেত্রে সিএসএল’র মান আরো উন্নত করার বিকল্প নেই। সিএফএ সহ-সভাপতি ও সিএসএল চেয়ারম্যান লি ইউয়ি বলেছেন এর মাধ্যমে কার্যত জাতীয় দলই উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, ‘এশিয়ায় শীর্ষ সারির লিগ আয়োজনের জন্য আমরা পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এটা একটি সাধারণ ধারণা, যে দলটি বিশ্বকাপে ভাল খেলে তাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড় বিশ্বের শীর্ষ সারির বিভিন্ন পেশাদার লিগে অংশ নিয়ে থাকে।’
গত বছর সিএসএল’র বিভিন্ন ম্যাচে গড়ে ২৪ হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিল। বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার তথ্য অনুযায়ী ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, বুন্দেসলিগা, লা লিগা, সিরি-এ ও মেক্সিকোর লিগা এমএক্স’র পর এটাই কোন লিগে সমর্থকদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ।
জিয়ের অধীনে চায়না ২০১৫ সালে ফুটবল উন্নয়নে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যেখানে হাজার হাজার শিশু অংশগ্রহণ করে। চলতি বছর চাইনিজ সরকার একটি পাইলট স্কিম চালু করেছে যার আওতায় দেশের সব কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ফুটবলকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।