২ ফুটবলকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। নানামুখী পরিকল্পনায় তাদের সেই চেষ্টা ধীরে ধীরে সাফল্যের মুখও দেখছে। ২০১৫ সালে দলটি ছিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৭৩তম স্থানে। চার বছরের ব্যবধানে সেই দলটির অবস্থান এখন ৯৮।
ক্রিকেট পাগল দেশ ভারতের ফুটবলের এমন উন্নতি এসেছে মূলত স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের হাত ধরে। তবে এএফসি এশিয়ান কাপের নক আউট পর্বে ভারতীয় দল উঠতে না পারায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে ডিসেম্বরে দায়িত্ব ছাড়েন এই ইংলিশ কোচ।
কনস্ট্যাইন্টাইনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হাই-প্রোফাইল কোচ খুঁজছে ভারত। দেশটির কোচ হতে এরই মধ্যে আড়াই শ দরখাস্ত জমা পড়েছে। যার মধ্যে ফ্রান্সের সাবেক কোচ রেমন্ড ডমেনেখের মতো হাই-প্রোফাইল কোচও আছেন।
সুনীল ছেতত্রীদের কোচ হওয়ার তালিকায় আছেন ইংল্যান্ডের সাবেক কোচ স্যাম অ্যালার্ডাইস, জিওভান্নি ডি বিয়াসি, হাকান এরিকসনের মতো পরিচিত মুখও।
তবে তার মধ্যে ডমেনেখের নামই সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল। তার অধীনেই ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল জিনেদিন জিদান-থিয়েরি অঁরিদের ফ্রান্স। ইতালির বিপক্ষে সেই ফাইনালে অবশ্য জিদানের ‘ঢুস কাণ্ডে’ শেষ হয়ে যায় ফরাসিদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন।
সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার এক কর্মকর্তা দেশটির গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ইউরোপের অনেক নামীদামী কোচই আবেদন করেছেন ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য। তাদের মধ্যে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন রেমন্ড ডমেনেখ।’
সংস্থাটি জানিয়েছে, যোগ্যতা অনুযায়ী কোচ হতে চাওয়া প্রার্থীদের বাছা হবে। সে ক্ষেত্রে যাদের উয়েফার লাইসেন্স রয়েছে তারা প্রাধান্য পাবেন। সেই কোচ অতীতে কোন জাতীয় দলের হয়ে কী সাফল্য পেয়েছেন সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষ করে যে সব আবেদনকারী কোচ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৭৫টি দেশের কাজ করে সাফল্য দিয়েছেন, তারা এগিয়ে থাকবেন কনস্ট্যান্টাইনের উত্তরসূরি হওয়ার জন্য।