প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে আবারও শীর্ষে ফিরলো ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার ফুলহ্যামে স্বাগতিক দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে তালিকার শীর্ষে ফিরে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এদিকে ক্রিস্ট্যাল প্যালেসের কাছে হেরে অবনমনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে হাডার্সফিল্ড।
শীর্ষ ও তলানির দলের মধ্যে উত্থান পতনের এই নাটকীয়তার ফাঁকে স্থায়ী কোচ হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে শুভ সূচনা করেছেন উলে গুনার সুলশার। শনিবার ওয়াটফোর্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে ওঠে এসেছে রেড ডেভিলসরা।
ক্রাভেন কটেজে ডি বক্সের কাছ থেকে বার্নার্ডো সিলভার পঞ্চম মিনিটের গোলে লিড পায় ম্যানচেস্টার সিটি। ২৭ মিনিটে সার্জিও এগুইরোর ঠান্ডা মাথার গোল সিটিকে পৌঁছে দেয় নিরপাদ অবস্থানে। এই জয়ে লিভারপুলের চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে থেকে তালিকার শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করে সিটিজেনরা।
দুই দলেরই হাতে রয়েছে আর মাত্র ৭টি করে ম্যাচ। পরের ম্যাচে তৃতীয় স্থানধারী টটেনহ্যাম হটস্পার্সকে হারাতে পারলে ফের টেবিলের শীর্ষে ফিরতে পারবে জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
আপাতত জয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মত কোয়াড্রপল (এক মৌসুমে চার ট্রফি) শিরোপা জয়ের পথেই হাটছে পেপ গার্দিওলার দল। কারণ সামনে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপ জয়ের হাতছানি। গত মাসে তারা জিতে নিয়েছে লিগ কাপ।
নতুন এই ইতিহাস গড়ার মাঝখানে এখন ১৪ ম্যাচ দূরত্বে অবস্থান করছে সিটিজেনরা। অপরদিকে ধুকতে থাকা ফুলহ্যামের সামনে অপেক্ষা করছে আরও কঠিন সময়। রেলিগেশন জোন থেকে রক্ষা পেতে তাদের এখনো ১৬ পয়েন্টের প্রয়োজন। অথচ হাতে রয়েছে মাত্র ছয়টি ম্যাচ।
এ বিষয়ে গার্দিওলা বলেন, ‘আমরা যেভাবে শুরু করেছি, তা এক কথায় দুর্দান্ত। ছেলেরা আমাকে ফের বিষ্মিত করেছে। প্রথম ১৫ থেকে ২০ মিনিট ছিল একেবারেই আলাদা। আমরা যদি চ্যাম্পিয়ন হতে চাই তাহলে প্রতিটি ম্যাচেই জয়লাভ করতে হবে। প্রতিপক্ষগুলোও বেশ শক্তিশালী। তবে এটিই হচ্ছে আসল চ্যালেঞ্জ।’
এদিকে শীর্ষ আসরে দুই মৌসুম টিকে থাকার পর ফের নিচের ধাপে ফিরে যেতে হচ্ছে হাডার্সফিল্ডকে। প্যালেস সফরে গিয়ে স্বাগতিক দলের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছে তারা। এটি ছিল চলতি লিগে ৩২ ম্যাচে অংশ নেয়া দলটির ২৪তম পরাজয়। ২০০৮ সালে মার্চ মাসেই ১১ পয়েন্ট নিয়ে অবনমনের শিকার হয়েছিল ডার্বি। এবার হাডার্সফিল্ড দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে এত আগে অবনমন নিশ্চিত করেছে।
পয়েন্টের দিক থেকে তৃতীয়স্থানধারী টটেনহ্যাম হটস্পার্সের সহাবস্থানেই পৌঁছে গেছে ইউনাইটেড। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তালিকার চতুর্থস্থান নিয়েই সন্তুষ্ঠ থাকতে হচ্ছে তাদের।