শুরুতে এলোমেলো ফুটবল খেলা জার্মানি দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো। প্রতিপক্ষের উপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে আদায় করে নিলো সমতাসূচক গোল। তবে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়া সার্বিয়ার বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল না ইওয়াখিম লুভের তারুণ্যনির্ভর দল।
জার্মানির শহর ভলফসবুর্কে বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ম্যাচের শুরুতে লুকা ইয়োভিচের গোলে স্বাগতিকরা পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন লেয়ন গোরেটস্কা।
বিশ্বসেরার মর্যাদায় রাশিয়া বিশ্বকাপে গিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় জার্মানি। পরে উয়েফা নেশন্স লিগে হয় অবনমন। ২০১৮ সালে মোট ছয় ম্যাচে হারে তারা, নিজেদের ইতিহাসে এর আগে এক বছরে কখনোই এত ম্যাচে হারেনি দলটি।
ব্যর্থতার গণ্ডি থেকে বেরিয়ে দলকে নতুন রূপ দিতে টমাস মুলার, মাটস হুমেলস ও জেরোমে বোয়াটেংয়ের মতো অভিজ্ঞ তিন খেলোয়াড়কে একেবারে ছেটে ফেলার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছিলেন লুভ। রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার টনি ক্রুসকেও রাখেন বেঞ্চে।
সব মিলিয়ে সবশেষ ম্যাচের একাদশে ছয়টি পরিবর্তন এনে মাঠে নামা জার্মানির শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও দ্বাদশ মিনিটে গোল খেয়ে বসে তারা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ছোট ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের ফরোয়ার্ড ইয়োভিচ।
কিছুটা গুছিয়ে ওঠা জার্মানি ২২তম মিনিটে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ পায়। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও তাকে পরাস্ত করতে পারেননি টিমো ভেরনার। ৩৭তম মিনিটে লাইপজিগ স্ট্রাইকারের আরেকটি শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে সার্বিয়াকে এগিয়ে রাখেন গোলরক্ষক মার্কো দিমিত্রোভিচ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তিনটি পরিবর্তন আনেন লুভ। এর মধ্যে তরুণ মিডফিল্ডার কাই হাভার্টসের বদলে নামা মার্কো রয়েস ৫৯তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু আট গজ দূর থেকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ফরোয়ার্ডের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন ছন্দে থাকা দিমিত্রোভিচ। পাঁচ মিনিট পর গোলরক্ষককে কাটিয়ে ইলকাই গিনদোয়ানের নেওয়া শট গোললাইন থেকে ফেরান সার্বিয়ার এক ডিফেন্ডার।
টানা আক্রমণ করতে থাকা স্বাগতিকরা অবশেষে ৬৯তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়। রয়েসের পাস ডি-বক্সে ঢুকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার মাঝে এক জনকে কাটিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার গোরেটস্কা।
যোগ করা সময়ে লেরয় সানেকে বিপজ্জনক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সার্বিয়ার ফরোয়ার্ড মিলান পাভকোভ। প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুযোগ কাজে লাগানোর মতো যথেষ্ট সময় অবশ্য ছিল না জার্মানির।