শালকেকে ৭-০ গোলে হারিয়েছ ম্যানচেস্টার সিটি। ক্লাব ফুটবলে ইউরোপ সেরার মঞ্চে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ডের দলটি।
শালকের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন সের্হিও আগুয়েরো। একটি করে করেন রাহিম স্টার্লিং, লেরয় সানে, বের্নার্দো সিলভা, গাব্রিয়েল জেসুস ও ফিল ফোডেন।
প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগে ৩-২ গোলে জেতা সিটি ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই চাপে ফেলে শালকেকে। চতুর্দশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। তবে স্টার্লিংয়ের কাটব্যাকে খুব কাছে থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আগুয়েরো। পরে দুইবার গোলরক্ষক বরাবর মেরে সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।
৩৫তম মিনিটে আগুয়েরোর পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় সিটি। সিলভাকে ডি-বক্সে জেফরি ব্রুমা ফেলে দিলে ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
তিন মিনিট পর ব্যবধানে দ্বিগুণ করেন আর্জেন্টিনার তারকা স্ট্রাইকার। বাইলাইন থেকে স্টার্লিংয়ের কাটব্যাক গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে ঠিকানায় পাঠান তিনি।
৪২তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলেন সানে। আলেকসান্দর জিনচেনকোর পাস থেকে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন এই জার্মান মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বাড়তে পারতো ব্যবধান। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মেরে সুযোগ হাতছাড়া করেন সানে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সিটির সবশেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা স্টার্লিং ৫৬তম মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন। সানের বাড়ানো বলে জাল খুঁজে নেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললেও রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলের বাঁশি বাজান।
সানের আরেকটি দুর্দান্ত পাসে ৭১তম মিনিটে পঞ্চম গোলটি করেন সিলভা। সাত মিনিট পর জার্মান মিডফিল্ডারের দুর্দান্ত থ্রু পাসে জাল খুঁজে নেন খানিক আগে বদলি নামা ফোডেন।
৮৪তম মিনিটে দলের সপ্তম গোলটি করেন আগুয়েরোর জায়গায় বদলি নামা গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির বাঁকানো শটে ঠিকানায় বল পাঠান তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
চলতি মৌসুমে এ নিয়ে ১০ বার পাঁচ বা তার বেশি গোল করল সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবশেষ চার আসরে এনিয়ে তৃতীয়বার শেষ আটে গেল দলটি।