পিছিয়ে পড়া দলকে পথে ফেরাতে আরও একবার জ্বলে উঠলেন লিওনেল মেসি। গোল করলেন ও করালেন। অধিনায়কের দারুণ নৈপুণ্যে রায়ো ভাইয়েকানোকে হারাল বার্সেলোনা।
কাম্প নউয়ে শনিবার স্থানীয় সময় বিকালে লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় অবনমন অঞ্চলের দলটিকে ৩-১ গোলে হারায় এরনেস্তো ভালভেরদের দল। এই জয়ে স্পেনের শীর্ষ লিগে কোনো এক দলের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে টানা সর্বোচ্চ ১৩ জয়ের রেকর্ড গড়ে কাতালান ক্লাবটি।
রাউল দে তমাসের গোলে পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনা জেরার্দ পিকের হেডে সমতায় ফেরে। পেনাল্টি গোলে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। আর শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ান লুইস সুয়ারেস।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে একচেটিয়া এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা ২৩তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়। কিন্তু ডি-বক্সে মেসির ছোট পাস ফাঁকায় পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো।
পাল্টা আক্রমণে পরের মিনিটে রাউল দে তমাসের দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় অতিথিরা। বল পায়ে অনেকটা ছুটে গিয়ে পিকেকে কাটিয়ে আরেক ডিফেন্ডারকে কোনো সুযোগ না দিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়ান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। চলতি মৌসুমে লিগে এটা তার একাদশ গোল।
৩৮তম মিনিটে গোলের অপেক্ষা শেষ হয় বার্সেলোনার। ডান দিক থেকে মেসির বাঁকানো এক ফ্রি-কিকে ফাঁকায় বল পেয়ে নিখুঁত হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পিকে।
দুই মিনিট পর নিজেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ তৈরি করেছিলেন মেসি। কিন্তু দুজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি আর্জেন্টাইন তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে মেসির সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পর্তুগিজ ডিফেন্ডার নেলসন সেমেদো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
চলতি লিগে বার্সেলোনা অধিনায়কের এটি সর্বোচ্চ ২৬তম গোল। আসরে সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোর তালিকাতেও সবার উপরে মেসি, ১২টি।
বার্সেলোনার হয়ে লিগে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে (৪৪২) ছাড়িয়ে গেলেন মেসি। ৪৪৩ ম্যাচ খেলা তারকা এই ফরোয়ার্ডের সামনে আছেন কেবল চাভি (৫০৫)।
৮২তম মিনিটে উসমান দেম্বেলের বাড়ানো বল ধরে খানিক আগে বদলি নামা ইভান রাকিতিচের সঙ্গে ডি-বক্সে একবার দেওয়া-নেওয়া করে প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন সুয়ারেস। আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা সুয়ারেসের এটি ১৭তম গোল।
দিনের অন্য ম্যাচে লেগানেসকে ১-০ গোলে হারানো আতলেতিকো মাদ্রিদ ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ৮ পয়েন্ট কম নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।