ফুটবল মাঠে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তর্ক বা হাতাহাতির ঘটনা নতুন কিছু নয়। এসব ঘটনা হরহামেশাই ঘটে থাকে। কিন্তু তাই বলে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে ব্লেড দিয়ে আঘাত করা হবে? অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই ঘটেছে তুরস্কের ঘরোয়া ফুটবলে!
তুরস্কের তৃতীয় বিভাগে ঘটল এমনটাই। সাকারইয়াসপুরের ফুটবলারদের ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে আমেদ এসকে ক্লাবের মিডফিল্ডার মনসুর চালারকে নিয়ে।
আমেদ এসকে-সাকারইয়াসপুরের ম্যাচের শুরু থেকেই ওঠে বিতর্ক। দুই দল যখন রেফারি ও একে অন্যের সাথে হাত মিলিয়ে খেলা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই খুব কৌশলে সাকারইয়াসপুরে ফেরহাত ইয়াজগানের পশ্চাৎদেশে ধারাল কিছু একটা দিয়ে আঘাত করেন চালার। প্রথমে অবশ্য সেটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি কেউ।
সেটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার জন্য। পুরো ম্যাচে বেশ কয়েকবার সাকারইয়াসপুরের ফুটবলারদের বিভিন্নভাবে ব্লেড দিয়ে আঘাত করেছেন চালার। এক পর্যায়ে হাচি ডগরুর গলাও চেপে ধরেন চালার, ওই সময়ও তার হাতে ছিল ধারাল ব্লেড। এ নিয়ে রেফারির কাছে আবেদন জানালেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।
ম্যাচটি ১-১ এ ড্র হওয়ার পর দুই ক্লাবের ফুটবলারদের মাঝে এই ইস্যুতে শুরু হয় তুমুল কথা কাটাকাটি। দুই পক্ষের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে প্রায় আধ ঘণ্টা তর্কের পর দুই দল যার যার ড্রেসিংরুমে চলে যায়। সেখান থেকে ইয়াজগান ও ডগরু তাদের ক্ষতবিক্ষত হাত, পা ও গলার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেন। এরপর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ইয়াজগান লিখেছেন, মানসিকভাবে অসুস্থ না হলে এরকম করা কোন ফুটবলারের পক্ষে সম্ভব না।
ম্যাচের হাইলাইটসে দেখা গেছে, রেফারির চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজের পকেটে কিছু একটা নিয়ে মাঠে ঢুকেছেন চালার। প্রতিপক্ষের সাথে হাত মেলানোর পর পকেট থেকে সেটা বের করে ইয়াজগানের গায়ে লাগান। পুরো ম্যাচে কয়েকবার পকেট থেকে সেই ব্লেড বের করেছেন তিনি।
চালারের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ তুরস্কের ফুটবল অনুরাগীরা। তাদের দাবি, চালারকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক। অনেকে তার আজীবন নিষেধাজ্ঞাও চেয়েছেন। তবে এতকিছুর পরেও আমেদ এসকে বলছে, চালার আসলে নির্দোষ! তিনি কখনোই ব্লেড দিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করেননি।
এই ঘটনায় তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশনের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করবে সাকারইয়াসপুর।
Amedsporlu futbolcu Mansur Çalar, Sakaryaspor maçına elinde gizlediği jiletle çıktı ve rakip takım futbolcularını yaraladı@TFF_Orgpic.twitter.com/QHhal7r14n
— Yeni Şafak Spor (@yenisafakspor) March 3, 2019