জাতীয় দলের ক্যাম্প চালানোর খরচ বাবদ বাফুফের কাছে পাওনা টাকার জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি আইনী নোটিশ পাঠিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুস সাদেক। সব মিলিয়ে ২০১৬-১৭ ও ১৭-১৮ দুই অর্থ বছরে বাফুফের কাছে তার পাওনা ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকা। বহু দেন-দরবার করেও এই পাওনা টাকা বুঝে পাননি আব্দুস সাদেক। যে কারণে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
আব্দুস সাদেকের কাজ ছিল সাধারণত ফুটবলারদের খাবার সরবরাহ করা। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দলের অনুশীলনে ও ম্যাচে বিভিন্ন সামগ্রীও সরবরাহ করেছেন তিনি। উকিল নোটিশের জবাব দেওয়ার সময় ছিল ৭ দিন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো জবাব না পাওয়ায় আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করেন সাদেক। ধৈর্য্যের বাধ ভাঙলে হেঁটেছেন মামলার পথে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ নির্বাহী কমিটির ২৪ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করেছেন মামলা।
সাদেকের আইনজীবী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঢাকা পঞ্চম জজ আদালতের সিভিল কোর্টে মামলাটি করা হয়েছে। ১৮ মার্চ এর প্রথম শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেছেন, তারা এখনও মামলার কপি হাতে পাননি। তার নাকি উল্টো সাদেকের কাছে পাওনা বিল ভাউচার চেয়ে উকিল নোটিশ দিয়েছে। ১ মার্চ এর মেয়াদ শেষ হবে।
উল্লেখ্য, বাফুফের বিরুদ্ধে আর্থিক অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া নেপালের প্রাইজমানি আড়াই বছর পরেও পরিশোধ করা হয়নি। এ নিয়ে উঠেছিল অভিযোগ। এর আগে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালনের পর নিজের পাওনা না পেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন মারুফুল হক। সর্বশেষ বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে চিঠি দিয়েছে দুদক।