উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বার্সেলোনার সাথে ড্র করেছে অলিম্পিক লিওঁ। মঙ্গলবার রাতের এ ম্যাচ ছিল গোল শূন্য।
দশ বছর আগে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখা হয়েছিল দুই দলের। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোলে লিওঁকে ছিটকে দিয়ে ২০০৮-০৯ মৌসুমে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল বার্সেলোনা। আগামী ১৩ মার্চে ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠ কাম্প নউয়ে হওয়াতে কিছুটা এবার শেষ আটের আশা ভালোভাবে টিকে আছে এরনেস্তো ভালভেরদের দলের।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে মেসি ফাউলের শিকার হলে ফ্রি কিক পায় বার্সেলোনা। আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। পরের মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে হোসেমের শট ঝাঁপিয়ে ফেরান বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
নবম মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বার্সেলোনা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফরাসি মিডফিল্ডার তেয়ায়ির জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়া টের স্টেগেনের গ্লাভসে ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে ফিরে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচের ১৯তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বার্সেলোনার উসমান দেম্বেলে গোলরক্ষকের গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন।
যোগ করা সময়ে বার্সেলোনার সের্হিও বুসকেতসের শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিক পাল্টে পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের রক্ষণ জমাট রেখে মাঝে মধ্যে পাল্টা আক্রমণে উঠছিল লিওঁ। তবে বার্সেলোনার পোস্টের নিচে আস্থার দেয়াল হয়ে ছিলেন টের স্টেগেনে। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে সুবিধা করে উঠতে না পারা বার্সেলোনার হতাশা বাড়ে ৬২তম মিনিটে লুইস সুয়ারেসের শট গোলরক্ষক কর্নারের বিনিময়ে ফেরালে।
৭০তম মিনিটে সুয়ারেসের আরেকটি শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। পাঁচ মিনিট পর জর্দি আলবার বাড়ানো বলে উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ডের স্লাইড করার প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। ৮৫তম মিনিটে মেসির কাট ব্যাকে বুসকেতসের নেওয়া শটও খুঁজে পায়নি ঠিকানা