দুশ্চিন্তায় ছিলেন বার্সেলোনার ভক্তরা। প্রথম লেগে দল যে হেরেছিল ০-২ গোলে। একটু ভুল মানেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। কিন্তু দলটি বার্সেলোনা, তাদের নিয়ে বাজি ধরাই যায়। একই ভুল তো আর বারবার হবে না। হয়ও নি। এবার ঠিকই সেভিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সা। তাদের বিধ্বস্ত করে দল পেয়ে গেছে কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের টিকিট।
চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের মাঠে বুধবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জিতেছে ৬-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে তাদের জয় ৬-৩ ব্যবধানে।
বড় ব্যবধানে জিততে হবে-এই সমীকরণটা চাপ হয়ে উঠেনি। খেলার শুরু থেকেই ন্যু ক্যাম্পে দাপট ছিল স্বাগতিকদের। খেলার ১৩তম মিনিটে তারা এগিয়ে যায় ফিলিপে কৌতিনিয়োর পেনাল্টি গোলে। ডি-বক্সে লিওনেল মেসি ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বার্সা।
এরপর স্পট কিক পেয়ে যায় সেভিয়াও। ২৪তম মিনিটে রোকি মেসাকে ফাউল করেন জেরার্ড পিকে। কিন্তু এভার বানেগার স্পট কিক আটকে দেন বার্সার গোলকিপার ইয়াসপের সিলেসেন।
খেলার ৩১তম মিনিটে কাতালান ফুটবল ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ইভান রাকিতিচ। ৫৪ মিনিটে ব্যবধানটা আরো বাড়িয়ে দেন দলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কৌতিনিয়ো। মিনিট না যেতেই দলের হয়ে চার নম্বর গোলটি করে সার্জিও রবের্তো আনন্দে ভাসান ন্যু ক্যাম্পের দর্শকদের।
তারপর অবশ্য একটা গোল পেয়ে যায় সেভিয়া। ৬৭তম মিনিটে ব্যবধান কমান গিলের্মো আরানা। লড়াই জমিয়ে রাখতে অতি আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে দলটির ফুটবলাররা। এ কারণে শেষদিকে আরো দুটি গোলও হজম করতে হয় সেভিয়ার।
ম্যাচের ৮৯তম নিশানা খুঁজে নেন লুইস সুয়ারেস। বুধবারের গোল উৎসবের এই রানে বসে থাকেন নি মেসি। বাঁ পায়ের যাদুতে তিনিও করলেন একটি গোল। আর দল ৬-১ গোলে জিতে পেয়ে গেছে কোপা দেল রের শেষ চারের টিকিট।
বুধবার এস্পানিওলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বার্সার সঙ্গী হয়েছে রিয়াল বেটিস। কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে দলটি।