গত সেপ্টেম্বরে লিগের প্রথম পর্বে নিজ মাঠে জিরোনা বার্সেলোনাকে রুখে দিয়ে ছিলো। ফিরতি পর্বে মেসিরা হেসে খেলে জিরোনাকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে।
জিরোনার মাঠে রোববার স্থানীয় সময় বিকালে ২-০ গোলে জেতে কাতালান ক্লাবটি। এ ম্যাচে লিওনেল মেসি ও নেলসন সেমেদোর গোলের দেখা পান।
প্রতিপক্ষের ভুলে ম্যাচের নবম মিনিটেই গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। লুইস সুয়ারেসের ক্রস ডি-বক্সে জিরোনার খেলোয়াড়রা বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে কয়েকজনের পা ঘুরে পেনাল্টি স্পটের কাছে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সেমেদো। বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন পর্তুগিজ এই ডিফেন্ডার।
কিছুক্ষণ পর মেসির পাস ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো। তবে তার নিচু শট ঠেকিয়ে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। ৪২তম মিনিটে ক্রিস্তিয়ান স্তুয়ানির শট ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ফিরতি বল পেয়ে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পেরে পন্সের শট গোললাইন থেকে ফেরান জেরার্দ পিকে।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে ফরাসি ডিফেন্ডার ক্লেমোঁ লংলেকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে স্তুয়ানির নেওয়া জোরালো শট পাঞ্চ করে ফেরান টের স্টেগেন।
পরের মিনিটেই বড় ধাক্কাটি খায় স্বাগতিকরা। সুয়ারেসকে পেছন থেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার বের্নার্দো এসপিনোসা।
দারুণ ছন্দে থাকা মেসি ৬৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। জর্দি আলবার পাস ডি-বক্সের মুখে ফাঁকায় পেয়ে চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে বল ঠিকানায় পাঠান আর্জেন্টাইন তারকা।
এ নিয়ে লিগে টানা ছয় ম্যাচে গোল করলেন বার্সেলোনা অধিনায়ক। এই সময়ে মোট নয়টি গোল করেছেন তিনি। আসরে তার মোট গোল হলো সর্বোচ্চ ১৯টি।
৭৫তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়ে উড়িয়ে মারেন সুয়ারেস। দুই মিনিট পর মেসির শট রুখে দেন গোলরক্ষক। যোগ করা সময়ে অরক্ষিত সুয়ারেসের আরেকটি শট গোলরক্ষক বোনো ঝাঁপিয়ে রুখে দিলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
২১ ম্যাচে ১৫ জয় ও চার ড্রয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৪৯।
শনিবার অঁতোয়ান গ্রিজমান ও সাউল নিগেসের গোলে গেতাফেকে ২-০ ব্যবধানে হারানো আতলেতিকো মাদ্রিদ ১২ জয় ও আট ড্রয়ে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে।
আর লেভান্তেকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া সেভিয়ার পয়েন্ট ৩৬।