ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে বরখাস্ত হওয়া কোচ হোসে মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদে প্রত্যাবর্তনে বাঁধা নেই। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি গত মাসে হোসে মরিনহোকে বরখাস্ত করে ক্ষতি পূরণ হিসেবে পরিশোধ করেছে ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড।
দি ডেইলি মিররের রিপোর্টে বলা হয়, ইউনাইটেডে ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মরিনহো। ওই চুক্তিতে অতিরিক্ত আরো এক বছর দায়িত্ব পালনের শর্তও দিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে ওই ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে তাকে ওই চুক্তি থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তির আর কোন ঝামেলা অবশিষ্ট নেই। সব কিছুরই সুরাহা করা হয়েছে। এখন যে কোন জায়াগায় কাজ করতে পারবেন হোসে মরিনহো। তবে এ জন্য তাড়াহুড়ো করার কোন প্রয়োজন নেই। এখন সে এই বিষয়ে বেশ নির্ভার। প্রয়োজনে এখন তিনি মৌসুমের শেষ ভাগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবেন।’
দি সানের রিপোর্টে বলা হয়, ওল্ড ট্রাফোর্ডে আড়াই বছর হতাশাজনক পারফর্মেন্সের কারণে বরখাস্ত হওয়া মরিনহোর এজেন্ট জর্জ মেন্ডেস ও ম্যানইউর নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান ইডি এডওয়ার্ডের বৈঠকে এই অর্থ পরিশোধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর ফলে ৫৫ বছর বয়সী এই পর্তুগীজ কোচের রিয়াল মাদ্রিদে প্রত্যাবর্তনে আর কোন বাঁধা রইলো না। তবে যদি ক্লাবটি সান্তিয়াগো সোলারির ওপর চাপ কমানোর জন্য মরিনহোকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে ২০১০থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রিয়ালের দায়িত্ব নিয়ে মরিনহো ক্লাবটিকে এনে দিয়েছিলেন লীগ ও স্প্যানিশ কাপের শিরোপা। বর্তমানে লা লীগায় শীর্ষ পয়েন্টধারী বার্সেলোনার চেয়ে ১০ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরবর্তী আসরে অংশগ্রহণের দৌঁড় থেকেও ছিটকে পড়ার কারণে চাপের মুখে রয়েছেন সোলারী। তাছাড়া ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্টিনো পেরেজও মরিনহোর ভক্ত।
নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে মেইলের রিপোর্টে বলা হয়, ‘তাদের মধ্যে কোন চুক্তি না হলেও গত অক্টোবরে জুলেন লোপতেগুই বরখাস্ত হবার পর তাদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়। এ সময় মরিনহো রিয়াল কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন যে তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন এবং নিজের দায়িত্ব পালনে তিনি বদ্ধপরিকর।’