চলতি বছর জুলাইয়ে স্পেশাল অলিম্পিকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ইউনিফাইড ফুটবল দলের ফুটবলার রেজওয়ানুল বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পালিয়ে যাওয়া অভিযোগ উঠেছে। তবে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও রেজওয়ানুল হুদিস দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, স্পেশাল অলিম্পিকে ১৬ সদস্যের দলে আটজন শারীরিক প্রতিবন্ধীর সঙ্গে আরও আটজন শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সক্ষম ফুটবলার থাকতে পারেন। একাদশে খেলতে পারেন ছয়জন প্রতিবন্ধীর সঙ্গে পাঁচজন সক্ষম খেলোয়াড়। দলের কয়েকজন খেলোয়াড় জানিয়েছেন, ২২ বছর বয়সী রেজওয়ানুল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হিসেবে দলে সুযোগ পেলেও তাঁর আচরণ মোটেও তেমন ছিল না। সজ্ঞানে পাসপোর্ট নিয়েই হোটেল ছাড়েন ফরিদপুরের ছেলে রেজওয়ানুল।
এই খেলোয়াড় নিখোঁজ হয়েছিলেন ১৯ জুলাই। সেদিন আয়োজকদের পক্ষ থেকে পুরো দলের নৌবিহারে যাওয়ার কথা ছিল। দলের দুই কোচ, হেড অব ডেলিগেশন ও ফিজিওর সঙ্গে আটজন খেলোয়াড় নৌবিহারে গেলেও বাকিদের সঙ্গে হোটেলে থেকে যান রেজওয়ানুল। কোচ ও অফিশিয়ালরা না থাকার সুযোগটাই নাকি নিয়েছেন দলের এই সদস্য । তাঁর নিখোঁজের ব্যাপারটি সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়েছিল শিকাগো পুলিশকে। শিকাগো পুলিশ ঘটনাটি নিজেদের টুইটার পেজেও ‘হারানো বিজ্ঞপ্তি’ আকারে প্রচার করে। তাৎক্ষণিকভাবে রেজওয়ানুলকে পাওয়া না যাওয়ায় তাঁকে ছাড়াই দেশে ফিরে বাংলাদেশ ইউনিফাইড দল।
এর পর ২৬ জুলাই জানা যায় রেজওয়ানুলের সন্ধান মিলেছে। তাঁর সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এসেছিল।
স্পেশাল অলিম্পিকের পরিচালক ফারুকুল ইসলাম ‘ছেলেটা আর দেশে ফেরেনি। শুনেছি ওর কোনো আত্মীয়ের মাধ্যমে সেখানেই আছে। আমেরিকান পুলিশ ওর খোঁজ পেয়েছিল। কিন্তু তখন ভিসার মেয়াদ থাকায় তাঁকে বাংলাদেশে ফিরতে বাধ্য করতে পারেনি পুলিশ।’