কলকাতার মাটিতে পা রাখলেন ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। নানা জ্বল্পনা-কল্পনার পর ৯ বছর পর আবারও কলকাতায় পা রাখলেন আর্জেন্টাইন রাজপুত্র।
আগেরবার কলকাতায় এসেছিলেন ২০০৮ সালে। ৯ বছর পর রোববার রাতে কলকাতায় আসেন তিনি। এ সফরে তিনি কলকাতায় থাকবেন তিনদিন। কলকাতা বিমান বন্দরে যখন তিনি বিমান থেকে নেমে আসেন, তখন নেভি ব্লু রংয়ের টি -শার্ট, মাথায় মিলিটারি ছাপের টুপি৷ বেশ ঝকঝকে দেখাচ্ছিল ৮৬’র বিশ্বকাপজয়ীকে।
কলকাতার দমদম বিমানবন্দর থেকে বের হলেন রাত পৌনে ৮টা নাগাদ৷ ২৩ বছরের বান্ধবী রোসিও অলিবাকে সঙ্গে নিয়ে এলেন। তাকে এক ঝলক দেখেই ‘দিয়েগো-দিয়েগো’ চিৎকারে বিমান বন্দরের চত্ত্বর প্রকম্পিত করে তুলল ভক্তরা। সেটা দেখে কিছুটা উত্সাহ ফিরে পান ম্যারাডোনা। হাত নাড়তে-নাড়তে বের হয়ে আসেন।
বিমানবন্দরে কোনো কথা না বললেও ম্যারাডোনা এর আগে ফেসবুকে এক বার্তায় লিখেছিলেন, ‘কলকাতার ভক্তরা অসাধারণ। এখানে আগে এসেছি। স্মৃতি রয়েছে৷ এটা আমার কাছে বিশেষ সফর। এই শহর, এই দেশ ফুটবল পাগল৷ এখানে নতুন প্রজন্মের ফুটবল ভক্তদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি মুখিয়ে।’
আজ সারাদিনই কলকাতায় ম্যারাডোনাকে ঘিরে ছিল প্রচুর অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় তিনি যান শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে৷ সেখানে নিজের মোমের মূর্তির উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে দুপুর পৌনে ২টায় অন্য একটি অনুষ্ঠানে সময় কাটান মিনিট তিরিশেক৷ সন্ধ্যায় তার গন্তব্য ছিল ফ্যানাটিক স্পোর্টস মিউজিয়াম।
কলকাতায় ম্যারাডোনার মূল আসল আকর্ষণ অবশ্য আগামী কাল (মঙ্গলবার)৷ দুপুর ১২টায় বারাসতে মাঠে নামবেন তিনি। প্রতিপক্ষ দলের নেতা আরেক কিংবদন্তি সৌরভ গাঙ্গুলি। ৪০ মিনিটের সেই ম্যাচে কিছুক্ষণ খেলার কথা ম্যারাডোনার। সেখানেই একটি ফুটবল ক্লিনিকের উদ্বোধন করবেন তিনি৷
আগেরবার যখন সেছিলেন, সেবার ম্যাচ খেলেননি ম্যারাডোনা। যুবভারতীতে তার সম্মানে আয়োজিত একটি ম্যাচে দর্শক হিসেবে ছিলেন শুধু৷ এবার যদি সত্যিই তিনি বল পায়ে মাঠে নামেন, তাহলে এটা একটা অন্যরকম প্রান্তি হবে কলকাতার মানুষের জন্য৷ যদিও ম্যাচ কলকাতায় হবে না৷ হবে বারাসতের কদমগাছিতে আদিত্য স্কুল অফ স্পোর্টসের স্টেডিয়ামে৷
রাতে তার সম্মানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘হল অফ ফেম ’ দেওয়া হবে ম্যারাডোনাকে। এবার তার কলকাতায় আসা নিয়ে প্রচুর টালাবাহানা হয়েছে। তার আসার কথা ছিল পুজার আগে৷ এরপর থেকে বারবার দিন বদলেছে৷ আয়োজকদের প্রতিনিধি একাধিকবার ছুটে গেছেন। তার কাছে৷ এবারও দুবাই থেকে ম্যারাডোনার সঙ্গে ছিলেন সেই প্রতিনিধি৷ অবশেষে তিনি এলেন।