ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের মধ্যকার ম্যাচে মারামারির ঘটনায় খেলোয়াড়দের বড় শাস্তি দিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। চার ফুটবলার শাস্তির মুখে পড়ার পাশাপশি আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে করা হয়েছে জরিমানা।
ম্যাচ রিপোর্ট, ভিডিও ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখে সিদ্ধান্ত নেয় শৃঙ্খলা কমিটি। এতে বসুন্ধরার ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরাকে এক লাখ টাকা জরিমানার সঙ্গে আট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই দলের অধিনায়ক তৌহিদুল আলম সবুজকে করা হয়েছে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ, সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
অন্যদিকে ‘ফ্লাইং কিক’ মারা আবাহনীর ডিফেন্ডার মামুন মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছয় ম্যাচ। ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবনকে। এখন গুরুত্বপূর্ণ এই খেলোয়াড়দের ছাড়াই স্বাধীনতা কাপে মাঠে নামতে হবে দুই ক্লাবকে।
এছাড়া, রেফারির গায়ে হাত তোলায় বড় শাস্তির মুখে পড়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। এই ক্লাবকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দলের ম্যানেজারকেও করা হয়েছে আর্থিক জরিমানা। ক্লাবের দুই বল বয়কেও দেওয়া হয়েছে আর্থিক দণ্ড।
গত ২৩ নভেম্বর ফেডারেশন কাপে ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের মধ্যকার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার শেষ দিকে আক্রমণে ওঠা চিজোবাকে নাসিরউদ্দিন কনুই দিয়ে গুঁতো মারলে উত্তেজনা ছড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে। চোট পেয়ে চিজোবা মাঠ ছাড়েন, বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আরেক ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন।
এরপর খেলা শুরু হতে না হতেই ফের মারমুখী হয় দুই পক্ষ। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াইয়ের এক পর্যায়ে বসুন্ধরার সুশান্ত ত্রিপুরা ও আবাহনীর জীবন পরস্পরকে আঘাত করেন। এরপরই দৌড়ে এসে ত্রিপুরাকে পেছন থেকে পিঠে লাথি মারেন আবাহনীর মামুন মিয়া।
মামুনকে লাথি মারেন বসুন্ধরার তৌহিদুল আলম সবুজ। ফলে বাহনীর নাবীব নেওয়াজ ও মামুন মিয়া এবং বসুন্ধরার সুশান্ত ত্রিপুরা ও তৌহিদুল আলম সবুজকে লালকার্ড দেখান রেফারি। খেলার বাকিটা সময় ৯ জন করে দিয়ে খেলতে হয় দুই দলকে।
এছাড়া, ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ২-২ গোলে ড্র থাকা অবস্থায় ম্যাচটি শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। শেষের দিকে ফ্রিকিক থেকে আরামবাগের জালে বল জড়িয়ে দেন কেভিন বেলফোর্ট।
আরামবাগের অভিযোগ ছিল, অফসাইড থেকে বলে পা ছুঁয়েছেন বেলফোর্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউট থেকে দৌড়ে মাঠের মধ্যে প্রবেশ করে সহকারী রেফারি হারুন-উর-রশিদকে পেটাতে শুরু করেন আরামবাগের এক কর্মকর্তা! সঙ্গে সাপোর্ট স্টাফরা মিলে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন ম্যাচের এই সহকারী রেফারিকে।