জুভেন্টাসের হয়ে নিজের দুর্দান্ত ফর্ম অব্যাহত রেখেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শনিবার এসপিএলের বিপক্ষে সহজ জয়ে মারিও মানুজকিচের সঙ্গে গোল করেছেন তিনিও। ম্যাচে ২-০ গোলে জয়লাভ করে জুভেন্টাস।
তুরিনে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ২৯তম মিনিটে মিরালেম পজানিচের ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে গোল করে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন রোনালদো। ওই গোলের সুবাদে সিরি এ লিগে তিনি পৌঁছে গেছেন চলতি মৌসুমে করজিসটো পিয়াটেকের সমান সর্বোচ্চ গোলেদাতার আসনে।
ম্যাচের ৬০ তম মিনিটে মানজুকিচের গোল জুভেন্টাসকে এনে দেয় তিন পয়েন্ট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা। এই জয়ের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের আগে দারুণ এক অনুপ্রেরণা লাভ করল জুভেন্টাস।
আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার মোকাবেলা করবে তারা। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে এসি মিলানের বিপক্ষে পাওয়া ২-০ গোলের জয়েও লক্ষ্যভেদ করেছিলেন এই জুটি।
খেলা শেষে জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি বলেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো সর্বক্ষণ প্রতিপক্ষের নজরদারীতে থাকেন। আর এটিই আমাদের দরকার। তিনি খুবই দ্রুত চিন্তা করতে পারেন এবং আক্রমন রচনা করতে পারেন। তিনি যখন দেখেন ডগলাস কস্তা কর্নার থেকে এগিয়ে আসছেন তখনই বলটি তার কাছে ব্যাক পাস করে দেন। এসব বিষয় আমলে নিয়েই আমাদের উন্নতি করতে হবে। পরের আক্রমন রচনার জন্য তড়িৎ চিন্তা করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।’
রেলিগশেনের সঙ্গে লড়াইরত এসপিএএল আসলে আলেগ্রির চ্যাম্পিয়ন দলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। বর্তমানে ইন্টার মিলান ও নেপোলির সঙ্গে ৯ পয়েন্টের ব্যবধান রচনা করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে জুভরা। ম্যাচে মানজুকিচের দ্বিতীয় গোলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ৩৩ বছর বয়সি রোনালদো।
এএসপিএলের কোচ লিওনার্দো সেমপ্লিসি বলেন, ‘প্রথম গোলটিই খেলার চেহারা পাল্টে দিয়েছে। রোনালদোকে বিনা বাঁধায় এগিয়ে যেতে দেওয়ায় আমি ছেলেদের উপর খুবই বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। এই প্রথম আমি রোনালদোর এমন আগ্রাসী খেলা খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমার ফরোয়ার্ডদের এখান থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত, কিভাবে একজন চ্যাম্পিয়ন নিয়মিত আচরণ দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন। এখন নিজেদের চাপমুক্ত করতে হলে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে।’
শনিবার অনুষ্ঠিত লীগের অন্য ম্যাচে উদেনিস ১-০ গোলে রোমাকে এবং ইন্টার মিলান ৩-০ গোলে ফ্রসিনোনকে পরাজিত করেছে।