খেলার শুরুতেই ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তার বদলে মাঠে নামেন রিশার্লিসন। সেই তরুণই গড়ে দিলেন ম্যাচের পার্থক্য। তার পা থেকে আসা একমাত্র গোলেই আসে টানা ষষ্ঠ জয়। ক্যামেরুনের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
ম্যাচের ৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ব্রাজিল। আলেক্স সান্দ্রোর পাস থেকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন অ্যালান। কিন্তু তার শট ফিরিয়ে দেন ক্যামেরুন গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। পরের মিনিটে নেইমারের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সেই শটের পর উরুতে টান লাগে নেইমারের। প্রাথমিক চিকিৎসাতে কাজ হয়নি, শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন নেইমার।
খেলার ২১ মিনিটে ছোট ডি বক্সের মধ্যে গোলরক্ষককে একেবারে একা পেয়ে গিয়েছিলেন রবার্তো ফিরমিনো। কিন্তু তার শট ফিরিয়ে দেন সেই গোলরক্ষক ওনানা। ৪১ মিনিটে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফিরমিনো। তার তিন মিনিট পর অ্যালানের দারুণ হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক। তবে ৪৫তম মিনিটে ব্রাজিলকে আর আটকে রাখতে পারেননি ওনানা। সেই কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে জাল খুঁজে নেন রিশার্লিসন।
৫২ মিনিটে গোল শোধ করার দারুণ সুযোগ মিস করে ক্যামেরুন। কার্ল তোকো একাম্বাইয়ের ক্রসে ফাঁকায় ঠিকভাবে পা ছোঁয়াতে পারেননি স্টিফেন বাহোকেন। পরের মিনিটে বদলী গোলরক্ষক জোসেফ ওন্দোয়ার ভুলে একেবারের ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। কিন্তু তার শট বারে লেগে ফিরে আসে।
৬০ মিনিটে দানিলোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। আট মিনিট পর আর্থার মেলোর শট বারে লেগে ফিরে না আসলে ব্যবধান বাড়াতে পারতো ব্রাজিল। ৮৭ মিনিটে ফাঁকায় শট নেওয়ার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সান্দ্রো। সে শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক।
পরের মিনিটে দুর্দান্ত দুটি সেভ করেন গোলরক্ষক ওন্দোয়া। ছোট ডিবক্সের মধ্যে প্রথমে জেসুসের এবং ফিরতি বলে রিশার্লিশনের শট ফেরান তিনি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে বারপোস্ট হতাশ করে ক্যামেরুনকেও। জ্যাকেস জুয়ার হেড বারে লেগে ফিরে আসে। ফলে রাশিয়া বিশ্বকাপের পর টানা ছয় জয়ের পাশাপাশি নিজেদের জালও অক্ষত রাখে ব্রাজিল।