ফেডারেশন কাপে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম সেমি-ফাইনালে জয়ের পর টাটা তৃতীয় জয়ের পথে আরেকধাপ এগিয়ে গেল বাবুর দল।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে দুই দলই বলের নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলায় মনোযোগী ছিল। ২৪তম মিনিটে শেখ জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিংয়ের কাট ব্যাকে কেউ শট নিতে পারেনি। ৩৪তম মিনিটে নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড চিজোবা লক্ষভ্রষ্ট শটে আবাহনী সমর্থকদের হতাশ করেন।
৩৯তম মিনিটে প্রথমার্থের সেরা সুযোগটি নষ্ট হয় শেখ জামালের। বাঁ দিক থেকে কিংয়ের ফ্রি কিকে ডি বক্সের ভেতর থেকে শওকত রাসেলের হেড জমে যায় শহীদুল আলম সোহেলের গ্লাভসে।
৫২তম মিনিটে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কারভেন্স ফিলস বেলফোর্টের দূরপাল্লার শটে পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। তিন মিনিট পর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ছোট ডি বক্সের বল নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন সেইনে বোজাং; গোলরক্ষককে একা পেয়েও শটই নিতে পারেননি শেখ জামালের এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড।
৫৬তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় প্রতিযোগিতার ১০বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। বাঁ দিক থেকে রুবেল মিয়ার ফ্রি কিক ডি বক্সে পড়ার পর ডিফেন্ডাররা বিপদমুক্ত করতে পারেননি। তড়িৎ শটে সুযোগ কাজে লাগান আফগানিস্তানের ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানি।
৬৪তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে শ্যামল মিয়া চিজোবাকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। ছয় মিনিট পর রায়হানের থ্রো ইনে বেলফোর্টের হেড গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাইমের গ্লাভস হয়ে পোস্টে লেগে ফিরলে ব্যবধান বাড়েনি।
শেখ জামাল ম্যাচে ফেরা গোল পায় ৭৯তম মিনিটে। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি মিডফিল্ডার দিদারুল আলম।
দুই মিনিট পর ওয়ালী ফয়সালের কর্নারে হেডে চিজোবা জাল খুঁজে নিলে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় আবাহনী। ৮৪তম মিনিটে ডি বক্সের জটলার মধ্যে থেকে লক্ষ্যভেদ করে দিদারুল ফের ম্যাচ জমিয়ে দেন।
৮৬তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করে হ্যাটট্রিক পূরণের সঙ্গে আবাহনীর জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন চিজোবা।
আগামীকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র খেলবে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে।