লিওনেল মেসির ভাঙা হাত দেখেও অবশ্য খুব একটা খুশি হতে পারছেন না ইন্টার মিলানের ইকার্দি-পেরিসিচরা। বুধবার রাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু ‘তে মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান।
লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে আগে ম্যাচে হাত ভেঙে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে মেসি। ইন্টার তাই মেসিহীন বার্সাকে পাচ্ছে। যা লুসিয়ানো স্পালেত্তির দলকে স্বস্তি দিতেই পারে। কিন্তু তা দিচ্ছে না ৯ বছর আগের একটা পরিসংখ্যান।
২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচেই ইনজুরির জন্য ইন্টারের বিপক্ষে খেলতে পারেননি মেসি। বার্সার সেই ম্যাচে ছিলেন না মেসির তৎকালীন সতীর্থ জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচও। কিন্তু তাতে কি, সেই ম্যাচে জেরার্ড পিকে ও পেদ্রো রদ্রিগেজের গোলে ২-০তে ম্যাচ জিতে নকআউটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল পেপ গার্দিওলার বার্সা।
সেই ৯ বছর আগেই শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা-ইন্টার। ঘটনাক্রমে এই ম্যাচেও নেই মেসি। তবে এই ম্যাচ জিতলে নকআউট নিশ্চিত হয়ে যাবে আর্নেস্টো ভালভার্দের দলের। কারণ আগের দুই ম্যাচে পিএসভি ও টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে শীর্ষে রয়েছে তারা। দুই ম্যাচ জিতে ভালো অবস্থানে অবশ্য আছে ইতালিয়ান ক্লাবটিও। ছন্দে থাকা ইন্টার চারদিন আগেই মিলান ডার্বিতে এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে।
প্রশ্ন এই ম্যাচে মেসির জায়গায় কে খেলবেন? ভালভার্দে যা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে উসমান ডেম্বেলে। তবে গোল করার জন্য বার্সার আসল অস্ত্র হিসেবে ধরা হচ্ছে লুইস সুয়ারেজকেই। কারণ তিনি গোল খরা কাটিয়ে এখন গোলের মধ্য আছেন।
মেসির চোট লাগার পরই সামাজিক মাধ্যমে অধিনায়কের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনার সঙ্গে উরুগুয়েন তারকা জানিয়েছেন নিজের উপলব্ধির কথাও। তার কথায়, ‘অধিনায়ক তুমি তাড়াতাড়ি সেরে ওঠো। তোমার অনুপস্থিতিতে আমরা তোমার দলকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বার্সার জন্য গোল করার জন্য কতটা মুখিয়ে আছেন লিভারপুলের সাবেক তারকা। শুধু সুয়ারেজ নন, গোলের মধ্যে আছেন ইভান রাকিটিচ, ফিলিপে কৌতিনহোরাও। এরা সবাই মেসির অভাব ঢেকে দিতে চান।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জর্ডি আলবাও যেমন বলেছেন, ‘মেসির বিকল্প হতে পারে না। কিন্তু আমাদের দল হিসেবে খেলতে হবে। মেসি থাকলে মানসিক শক্তি বেড়ে যায়। তবে লিও থাকলেও যেভাবে খেলি, তার অনুপস্থিতিতেও সেভাবেই খেলব। তবে মেসিকে ছাড়া খেলাটা সব সময়ই কঠিন। তাছাড়া তিনি না থাকলে আমাদের খেলতেও ভালো লাগে না। কিন্তু সত্যিটা মেনে নিতে হবে। কিছু করার নেই।’।
পিকে আবার বলেছেন, ’আমরা চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছি। দেখিয়ে দিতে হবে কোনো একজনের জন্য আমাদের জয় আটকাবে না। আর সেটা না পারলে সব চেয়ে খুশি হবে লিও নিজে।’