৯ বছর আগে ওঠা ধর্ষণ মামলা মহা বিপদে পড়েছেন পর্তুগালের মহাতারকা স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মার্কিন মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ রোনালদো মিথ্যে বললেও মার্কিন ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা নাইকি বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। সংস্থাটি রোনালদো সঙ্গে করা ১শ’ কোটি ডলারের চুক্তি বালিত করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
রোনালদো বিরুদ্ধে অভিযোগটা গুরুতর ও নারীঘটিত। ফলে নাইকি মতো কোন সংস্থা তা সমর্থন করতে পারে না। ফলে রোনালদো সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিলের বিষয়ে ভাবছে। তবে তার ক্লাব জুভেন্তাস রোনালদো পাশে দাঁড়িয়েছে।
২০০৯ সালে লাস ভেগাসে এক হোটেলের ক্যাসিনোতে রোনালদো ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন এক মার্কিন নারী। কিন্তু সেভাবে প্রমাণ না মেলায় রোনালদোর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি মার্কিন পুলিশ। ৯ বছর পর সেই ধর্ষণ কাণ্ডে এক বড় প্রমাণ জোগাড় করে জুভেন্তাসের এ তারকার বিরুদ্ধে ফের মাঠে নেমেছে সেই নারী।
লাস ভেগাস পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহিলা যে প্রমাণ তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, তাতে রোনালদোর বিরুদ্ধে ফের তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। এমন খবরে বেশ বিপাকেই পড়েছেন এ ফুটবল তারকা।
রোনালদোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভেগাসে একটি হোটেলের ক্যাসিনোয় ৩৪ বছর বয়সী ক্যাথরিন মায়োরগা নামের এক মার্কিন মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। রোনালদো তাকে নিজের রুমে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় জোর করে তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন রোনালদো।
৯ বছর আগে কোন প্রমাণ না থাকলে এখন কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন ও নারী। শোনা যাচ্ছে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করেছেন সেই নারী। তার পরেই ফের খুলছে ধর্ষণ মামলার নথি।
এদিকে জার্মানির দের স্পিগেলে প্রকাশিত ওই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জুভেন্তাসের এ পতুর্গিজ তারকা। রোনালদোর দাবি যা হয়েছে তা দুজনের সম্মতিতেই হয়েছিল। সূত্র : এনডিটিভি