ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ফুটবল জগতের অন্যতম সেরা তারকা। তিনি বিভিন্ন কারণে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আবারও শিরোনামে রোনালদো। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথরিন মায়াগো নামে এক নারী অভিযোগ করেছেন, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের এক হোটেল কক্ষে রোনালদো তাকে ধর্ষণ করেছিলেন।
অন্যদিকে, ধর্ষণের অভিযোগের সপক্ষে যেসব প্রমাণ দেখানো হচ্ছে তাকে বানানো বলে দাবি করা হচ্ছে রোনালদোর পক্ষ থেকে। বলা হচ্ছে, লাস ভেগাসে তখন যা হয়েছিল সেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। সেখানে যা হয়েছে তা সম্মতিতেই হয়েছে।
৩৪ বছর বয়সী ক্যাথরিন মায়োর্গা অভিযোগ, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে একটি হোটেলে রোনালদো তার সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। পুলিশে অভিযোগ করলেও তদন্ত না করে ২০১০ সালে আদালতের বাইরে তিন লাখ ৭৫ হাজার ডলারে তা মীমাংসা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জার্মানির একটি সাপ্তাহিক প্রকাশ করার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে ঘটনার সপক্ষে দায়ের করা নথিপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোনালদোর আইনজীবী। সেই চুক্তির বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, একটি গণমাধ্যম দায়িত্বহীনভাবে এমন সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে, যা চুরিকৃত এবং ডিজিটাল উপায়ে সহজেই তৈরিকৃত নথির উপর প্রতিষ্ঠিত। যার গুরুত্বপূর্ণ অংশই পরিবর্তিত বা সম্পূর্ণ তৈরিকৃত।
এ ব্যাপারে রোনালদোর আইনজীবী বলছেন, রোনালদো চুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তবে যেসব কারণ এর পেছনে বলা হচ্ছে তা অন্তত বিকৃত। চুক্তির অর্থ এই নয় যে তিনি দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।