ইতালিয়ান সিরি-আ লিগে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেছেন জুভেন্টাসের অধিনায়ক গিয়ানলুইজি বুফন। মিলানে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড গালা ডেল ক্ল্যাসিকো অ্যাওয়ার্ড নাইটে ৩৯ বছর বয়সী এ অভিজ্ঞ ইতালিয়ানের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জমকালো ওই অনুষ্ঠানে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতে নিয়ে বুফন বলেন, বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে না পারা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় একটি হতাশা। সাথে যোগ হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে না জেতার হতাশা। তারপরেও আমি সত্যিই খুশি ও গর্বিত।
তিনি আরও বলেন, কখনই ভাবিনি এ ধরনের একটি শিরোপা হাতে নিতে পারব। আজকের রাতটা আমার জন্য স্মরণীয়, কারণ তরুণ বয়সে আমি কখনই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিততে পারিনি।
এছাড়া ইতালিয়ান ফুটবল অ্যাওয়ার্ডের সেরা কোচের ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জয় করেছেন নাপোলির মরিজিও সারি।
সুইডেনের বিপক্ষে বাছাইপর্বের প্লে-অব ম্যাচে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি বিশ্বকাপের মূল আসরের আগেই বিদায় নিয়েছে। এ ব্যর্থতার পরপরই বুফন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।
স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়াতে এ সম্পর্কে বুফন বলেছেন, ইতালি-সুইডেন ম্যাচটি আমার জীবনের সবচেয়ে হতাশাজনক ম্যাচ। কিন্তু সবকিছুকে পিছনে ফেলে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মৌসুমটা যাতে সেরা অবস্থানে থেকে শেষ করতে পারি। জুভেন্টাসের হয়ে এখনও আমার অনেক কিছু অর্জনের বাকি রয়েছে।
জুভেন্টাসের হয়ে বুফন গত বছর দশম সিরি-আ শিরোপা জিতেছেন। এছাড়াও ইতালিয়ান কাপের শিরোপার পাশাপাশি গত তিন বছরে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলেছে তুরিনের জায়ান্টরা।
সুইডেনের বিপক্ষে ব্যর্থতায় জাতীয় দলকে বিদায় বললেও হঠাৎ করেই বুফন নিজের সিদ্ধান্তের থেকে ফিরে এসেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমি বিশ্রাম নিয়েছি। জাতীয় দল ও জুভেন্টাসের জন্য আমি সবসময়ই প্রস্তুত আছি। এমনকি ৬০ বছর বয়সেও যদি জাতীয় দলের গোলরক্ষকের অভাব হয় তবে আমি খেলতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, টানা ষষ্ঠবারের মত জুভেন্টাসের কোন খেলোয়াড় সম্মানজনক এই পুরস্কার অর্জন করলেন। এর আগে জুভেন্টাসের হয়ে এই পুরস্কার জয় করেছেন আন্দ্রে পিরলো (২০১২-১৪), কার্লোস তেভেজ (২০১৫) ও লিওনার্দো বনুচ্চি (২০১৬)।