গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেও শেষ ম্যাচে নেপালের কাছে হেরে সাফ ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে জয় পাওয়ার বাংলাদেশের দর্শকদের মাঝে আজ একটু বাড়তিউ উত্তেজনা ছিল। জিতলে বা ড্র করলেই বাংলাদেশ চলে যেত সেমিফাইনালে। এমন একটি ম্যাচে হার কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি দর্শকরা।
ম্যাচের সময় যত গড়াচ্ছিল হতাশা ততই বাড়ছিল দর্শকদের মধ্যে। একটা সময় ধৈর্যও হারিয়ে ফেলেন তারা। তিলধারণের ঠাঁই না থাকা গ্যালারি থেকে হঠাৎ শুরু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। হাতে থাকা পানির বোতল মাঠের মাঝে ছুড়ে মারতে থাকেন সমর্থকরা! শুধু পানির বোতলই নয়, গ্যালারিতে থাকা ভাঙা চেয়ারের বিভিন্ন অংশও ছুড়ে মারেন তার। এ যেন বোতলবৃষ্টি।
কিছুক্ষণের মধ্যে শত শত পানির বোতল উড়তে থেকে মাঠের দিকে। বেশিরভাগই খালি বোতল থাকায় তা বেশি দূরত্বে যায়নি। গ্যালারির পাশের সবুজ ঘাসগুলোতে উড়ে পড়তে থাকে সাদা রঙের পানির বোতল।
বোতল ছুড়া মারার সাথে মুখেও তুলে বিভিন্ন ধ্বনি। ভুয়া-ভুয়া বলে দুয়োধ্বনি দেন তারা। দর্শকদের এমন কর্মকাণ্ডের মাঝে শেষ সময়ে আরও একটি গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। পরাজয় নিশ্চিত জেনে মাঠ ছাড়তে থাকের ভক্ত-সমর্থকরা।
তবে রাগের মাথায় হোক আর জোকেই হোক, দর্শকদের এমন আচারণ অনেকেই মানতে পারেননি। মাঠে তেমন বাঁধা দেয়ার দৃশ্য দেখা না গেলেও সমালোচনা করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ফয়সাল খান নামের একজন দর্শক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মাঠে বোতল ছুড়ার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমরা সভ্য হবো কবে????’
প্রিন্স রাফি নামে আরও একজন এক গ্রুপে লিখেছেন, ‘লজ্জাজনক ঘটনা দেখলো বিশ্ব। আমি বাঙালী আমি লজ্জিত। এইরকম দেশে জন্ম নেয়া আমার ঠিক হয় নাই আজ যদি অন্য দেশে জন্ম নিতাম তাহলে এইরকম দৃশ্যটি দেখতে হতো না। সত্যি এইরকম খাটি দেশে এইসব দৃশ্য মানায় না! একটা কথা আছে বাঙালী জিতলে তালি হারলে গালি। তা আবারো দেখলো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ম্যাচ হেরে যখন খেলোয়াড়েরা মাঠে সুয়ে কাঁদছে, তখন মাঠে খেলা দেখতে আশা পাষান দর্শকরা মাঠে পানির বোতল ছুড়ে। এইরকম দৃশ্য দেখতে হলো বাঙালী জাতিকে আমরা একটু বেশি আবেগী, তাই আমরা এই কাজ করি। এই ফুটবলারাই জবাব দিবে, আজকের দিনের মাঠে বোতল ছোড়া পাবলিকদের?’