বাংলাদেশ নারী ফুটবলের চলা জটিলতা অবশেষে কাটলো। প্রধান কোচ পিটার জেমস বাটলারের বিরুদ্ধে চলমান বিদ্রোহ থেকে সরে এসেছেন সাবিনা খাতুনসহ ১৮ নারী ফুটবলারা। তবে এখনই মাঠের খেলায় ফিরছেন না তারা। একই সাথে করছেন না বাফুফের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবিনারা।
বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজা আক্তার কিরন বলেন, “সভাপতি এবং আমার পক্ষ থেকে মেয়েদের ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি, তারই ধারাবাহিকতাও আজও তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে বলতে পারি, মেয়েরা ট্রেনিংয়ে ফিরবে, তবে এখন ফিরবে না।”
তিনি বলেন, “আমাদের ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাবে ২৪ তারিখ (ফেব্রুয়ারি)। আপনারা জানেন আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাত যাব, একটা ফিফা উইন্ডোতে একটা ম্যাচ খেলতে। যেহেতু দল ২৪ তারিখ চলে যাবে, ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাবে। সিনিয়র মেয়েরাও একটা বিরতি চাচ্ছে। বিরতির পর ক্যাম্পে ফিরে অনুশীলন শুরু করবে।”
বিরতির পর মেয়েদের বিষয়ে আশাবাদী কিরণ একই সাথে কোচ পিটার জেমস বাটলারের সাথে সংকট কেটে যাওয়ার আশা করেন। বলেন, “অনুশীলন শুরুর সময় কোচ এবং মেয়েদের নিয়ে সভা করে যে ভুল বোঝাবুঝি আছে সেটা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে সভাপতি।”
বিদ্রোহ থেকে সরে আসলেও এখনই চুক্তিতে সই করছেন না নারী ফুটবলাররা। কিরণ জানান, “আমাকে বলেছে যোগ দিয়ে (অনুশীলনে) চুক্তিতে সই করবে।”
এশিয়ান কাপ বাছাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর সামনে রেখে ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে নারী ফুটবলের ক্যাম্প। তবে প্রধান কোচ পিটার জেমস বাটলারকে সারানোর দাবিতে বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলার অনুশীলন থেকে বিরত ছিলেন।
৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় এক সাথে ১৮ ফুটবলার বাফুফে ভবনের নিচে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেন, পিটার বাটলারের অধীনে তারা অনুশীলন করবেন না। প্রয়োজনে ফুটবল ছেড়ে দিবেন।
নারী ফুটবলারদের এমন দাবিতেও অনড় ছিল বাফুফে। শুধু তাই নয়, ১৮ জন ছাড়া বাকি আরও ৩৭ জন নারী ফুটবলারের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করেছে বাফুফে। জানানো হয়, বিদ্রোহ বাদ দিয়ে অনুশীলনে যোগ দিলেও ১৮ জনের সাথেও চুক্তি স্বাক্ষর করবে বাফুফে।