বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অর্জনের খাতায় আরও একটি মাইলফলক যুক্ত হলো। ১৪ জন স্বনামধন্য ব্যক্তির সাথে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক ২০২৫ পাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নারী ফুটবল দলকে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৯৭৬ সালে শুরুর পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে এই প্রথমবার একটি ক্রীড়া দল একুশে পদক পাচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে সাফ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার সানজিদা আক্তার অত্যন্ত রোমাঞ্চিত, আনন্দিত। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সানজিদা বলেছেন, আমরা কখনই ভাবিনি যে, আমরা এত তাড়াতাড়ি এ পুরস্কার পাব।
একুশে পদক পাওয়ার ঘোষণা পর নিজের অনুভূতি নিয়ে সানজিদা বলেন, “সত্যি কথা বলতে, একুশে পদক সম্পর্কে আমার ধারণা কম ছিল। তাে প্রথমে বুঝতে পারিনি। কিন্তু স্বাধীনতা পুরস্কারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারের স্বীকৃতির কথা জানতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত, গর্বিত।”
এত কম বষয়ে এমন পুরস্কার পাওয়া কখনো আশা করেছিলেন কি-না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি গত ১২ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলছি এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। এত অল্প বয়সে এ সম্মান অকল্পনীয়। আমরা কখনই ভাবিনি যে, আমরা এত তাড়াতাড়ি এই পুরস্কার পাব। অনেকে অনেক কিছু করেও কিন্তু এই পুরস্কার পায় না।”
এমন অর্জনের কৃতিত্ব হিসেবে পরিবারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকেই দিতে চান সাঢজয়ী এ নারী ফুটবলার। বলেন, “এ অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য আমি অবশ্যই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বিএফএফ) কৃতিত্ব দিতে পারি। কারণ বাফুফে আমাদের জন্য সারা বছর ক্যাম্পের ব্যবস্থা করে। এ অসাধারণ অর্জনের কৃতিত্ব অবশ্যই বাফুফেকে দিতে হবে এবং অবশ্যই আমি আমার পরিবারকেও কৃতিত্ব দেব।”