প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিপক্ষদের জন্য বড় হুমকি ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু আসল মঞ্চে অনুজ্জ্বল পাকির আলীর দল। গ্রুপ 'বি'র প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরে খাদের কিনারায় চলে যায় লঙ্কানরা।
শুক্রবার মালদ্বীপের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নামে। তবে মালদ্বীপের সঙ্গে গোল শূন্য সমতা করে আশা বাঁচিয়ে রাখলো তারা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টার ম্যাচে মাঠে নামে দু'দল। তাতে এক ম্যাচ খেলেই জিতলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হতো মালদ্বীপের। কিন্তু সুযোগটা নিতে পারলো না তারা। উল্টো চাপে পড়ে গেলো সমতা করে। এখন ভারতের বিপক্ষে শ্রীলংকার চেয়ে বড় ব্যবধানে হারলে বিদায় নিতে হবে দ্বীপ দেশটিকে।
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় লঙ্কানদের সামনে সেমিতে ওঠার সমীকরণটা অনেক জটিল ছিল। কোচ পাকির আলীও তাই জানান, 'আমাদের গ্রুপটা অনেক শক্তিশালী। ভারতের কাছে হেরেছি। মালদ্বীপের বিপক্ষে আমাদের জিততেই হবে। তারা অনেক শক্তিশালী। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।'
লঙ্কানরা অবশ্য চেষ্টা করেছে তবে জিততে পারেনি। মালদ্বীপের থেকে অবশ্য তারা ভালোও খেলেনি। তবে শেষ পর্যন্ত আটকে দিতে পেরেছে তাদের। র্যাংকিং ও শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে ছিল মালদ্বীপ। দ্বীপ দেশের অবস্থান ১৫০তম, শ্রীলংকার ২০০। মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে পিটার সেগার্টের দল। ১৬ বারের লড়াইয়ে ৭টিতে মালদ্বীপ ও ২টিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। বাকি সাত ম্যাচ ছিল অমীমাংসিত। তার সঙ্গে যোগ হলো আরও এক ম্যাচ।
তারুণ্যেই ভরসা রেখেছিল দু'দলই। সাফের সর্বোচ্চ গোলদাতা আলী আশফাকের (২০ গোল) সেগার্টের দলে জায়গা হয়নি। তবে যাদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন তারা প্রতিদান দিতে পারেনি। শ্রীলঙ্কাকে সমীহ করে মালদ্বীপ কোচ জানান, গত কয়েক মাস ধরে শ্রীলঙ্কার ফুটবল অনেক উন্নতি করেছে। প্রীতি ফুটবলে স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়ে এবং মালদ্বীপকে রুখে দিয়ে তার প্রমাণ ভালোই দিয়েছে লংকানরা। এখন তাদের টুর্নামেন্টে টিকে থাকা না থাকা নির্ভর করছে ভারত এবং জটিল সমীকরণের ওপর।