স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা বার্সেলোনার

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৮:৪১ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা বার্সেলোনার

সৌদি আরবের ক্লাসিকো ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জয় করেছে বার্সেলোনা। কোচ হান্সি ফ্লিকের অধীনে এটাই বার্সেলোনার প্রথম শিরোপা।

জেদ্দার কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে মাদ্রিদই প্রথম এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরপর আর বার্সেলোনাকে আটকানো যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা গোলরক্ষক ওজিচে সিজিসনি লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যাবার সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল।

এর আগে অক্টোবরে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতো ঘরের মাঠে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেবার আশায় মাঠে নেমেছিল গ্যালাকটিকোরা। কিন্তু তার পরিবর্তে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে।

এমবাপ্পের গোলের পর লামিন ইয়ামাল ম্যাচে সমতা ফেরান। রবার্ট লিওয়ানদোস্কি পেনাল্টি স্পট থেকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন। রাফিনহার দুই গোলের মাঝে আলেহান্দ্রো বাল্ডে এক গোল করেছেন।

রডরিগো ফ্রি-কিক থেকে ৬০ মিনিটে মাদ্রিদের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু এরপর আর ম্যাচে ফিরে আসার কোন সুযোগই কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল। ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নদের জন্য বড় এই পরাজয় সত্যিই হতাশার।

ম্যাচ শেষে বার্সা বস ফ্লিক বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি দুর্দান্ত দিন। কারন আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি দলকে পরাজিত করেছি। তাও আবার মৌসুমে দ্বিতীয়বার। রিয়াল মাদ্রিদের মত দলকে এভাবে পরাজিত করা সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমরা এখানে শিরোপা জিতেছি, এজন্য আমরা সবাই খুশী। আজকের দিনটি এই দলের জন্য ইতিবাচক একটি দিন।’

রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমরা মোটেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারিনি। তারা তাদের গোলগুলো বেশ সহজেই আদায় করে নিয়েছে। ভক্তদের মতই আমি দারুন ব্যথিত। এই ধরনের পরাজয় সত্যিই হতাশার। আমাদের এটা লুকানোর কোন প্রয়োজন নেই। যদিও সবকিছুকে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

ম্যাচের শুরুটা বার্সেলোনা ভালভাবে করলেও রিয়াল মাদ্রিদ ৫ মিনিটে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে এমবাপ্পের দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায়। ফরাসি ফরোয়ার্ড লিগে কাতালানদের বিপক্ষে পরাজয়ের ম্যাচটিতে বেশ কয়েকবার অফসাইড পজিশনের কারনে হতাশ করেছিলেন। তবে কাল আর কোন ভুল করেননি।

১৭ বছর বয়সী ইয়ামাল ২২ মিনিটে লো ফিনিশে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান। এডুয়ার্ডো কামভিনগার বিপক্ষে গাভির আদায় করা পেনাল্টি থেকে লিওয়ানদোস্কির গোলে ৩৬ মিনিটে এগিয়ে যায় কাতালান জায়ান্টরা। কুন্ডের ক্রস থেকে তিন মিনিট পর রাফিনহা বার্সেলোনার হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ইয়ামাল ও রাফিনহার সহায়তায় বাল্ডে মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়াকে পরাস্ত করেন।

বিরতির পরও একই গতি নিয়ে খেলা শুরু করে বার্সেলোনা। তারই ধারাবাহিকতায় ৪৮ মিনিটে রাফিনহা দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন। পেনাল্টি বক্সের বাইরে এমবাপ্পেকে ফাউল করার অপরাধে বার্সা গোলরক্ষক সিজিসনি লাল কার্ড পেলে ১০ জনের দলে পরিনত হয় বার্সা।

এর আগে পোস্টে বল লাগানো রডরিগোর ফ্রি-কিক সিজিসনির পরিবর্তে মাঠে নামা ইনাকি পেনা ধরতে পারেননি। স্টপেজ টাইমে এমবাপ্পে জুড বেলিংহামের দিকে দারুন এক বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু জুলেস কুন্ডের চ্যালেঞ্জ টপকাতে পারেননি ইংলিশ মিডফিল্ডার।



শেয়ার করুন :