সাফ জয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় নারী দলের সদস্যরা নানা সমস্যার কথা শেয়ার করেছেন এবং এগুলো সমাধানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে কোন প্রকার দ্বিধা না করে দাবিগুলো লিখিত আকারে জমা দিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
৩০ অক্টোবরে কাঠমান্ডুতে সপ্তম সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো শিরোপা জয় করে বাংলাদেশের মেয়েরা। দেশে ফিরে পেয়েছে ছাদখোলা বাসের সংবর্ধনা। ২০২২ আসরে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েও এমন সংবর্ধনা পেয়েছিল সাবিনারা।
শনিবার (২ নভেম্বর) যমুনায় সংবর্ধনা দেওয়ায় অধিনায়ক সাবিনা খাতুন প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “অনেক বাধা অতিক্রম করে আমরা এ পর্যায়ে এসেছি। শুধু নারী ফুটবল দলই নয়, বাংলাদেশের নারীরা অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হয়। আমাদের যে বেতন তা পরিবারের জন্য খুব বেশি সাহায্য করে না।”
ময়মনসিংহের বিখ্যাত কলোসিমদুর গ্রামের মারিয়া মান্দা নিজের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বাবাকে হারানো মান্দাকে মা তাকে লালনপালন করেছেন।
কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকায় নারী ফুটবলারদের আবাসনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। একই সাথে এশিয়ার বাইরে বিশেষত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচের ব্যবস্থা করতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাদের ব্যক্তিগত আশা এবং আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম এবং দাবিগুলো আলাদা কাগজে লিখে রাখতে এবং সেগুলো অফিসে জমা দিতে বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “তোমরা (নারী ফুটবলার) যা খুশি লিখতে দ্বিধা করবে না। আমরা তোমাদের দাবি পূরণ করার চেষ্টা করবো। এখন যদি কিছু সুরাহা করা যায়, তবে আমরা এখনই তা করবো।”
এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এ সাফল্য (সাফ জয়) অর্জনের জন্য সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে তোমাদের অভিনন্দন জানাই। জাতি তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ সাফল্য চায়। তোমরা সেই সাফল্য এনে দিয়েছেন।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কোচ পিটার বাটলার ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার ছাড়াও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায়, নুরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন।