অবিশ্বাস্য এক ম্যাচে ২-১ গোলের পরাজয় দিয়ে অলিম্পিকে যাত্রা শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজনে একটি বিতর্কের ছাপ পড়লো। দক্ষিণ আমেরিকার জায়ান্টরা শেষ মুহূর্তে ম্যাচে সমতায় ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অফসাইডের কারণে গোল বাতিল করলে মরক্কো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
সেইন্ট-এতিয়েনে গ্রপ-বি’র প্রথম ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে যোগ হওয়া ১৬তম মিনিটে ক্রিস্টিয়ান মেডিনার গোলে আর্জেন্টিনা সমতায় ফিরেছিল। এসময় তাদের খেলোয়াড়রা যখন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল, স্ট্যান্ড থেকে সমর্থকদের বোতল ও অন্যান্য বিভিন্ন দ্রব্য দিয়ে মাঠ ভরে গিয়েছিল, এমনকি কিছু দর্শক মাঠেও প্রবেশ করেছিল, ঠিক ওই সময় রেফারি তাড়াহুড়ো করে ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজাতে বাধ্য হন।
মাঠের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দুই দলই ড্রেসিং রুমে ফিরে যাওয়ার পর রেফারি আবারো বাঁশি বাজিয়ে ম্যাচ শুরুর নির্দেশ দেন। মাঠ পরিষ্কার করে প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিন মিনিটের জন্য ম্যাচটি আবারও শুরু হয়, ততক্ষণে অবশ্য মাঠ থেকে সব দর্শককে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
ম্যাচ পুরনায় শুরু হওয়ার সাথে সাথে হঠাৎ করেই ভিএআর রিভিউ মেডিনার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দিলে মরক্কো পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
শুরুতেই ফুটবল বিতর্কে কিছুটা হলেও প্যারিস গেমস সমালোচনার মুখে পড়লো। একইসাথে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের জন্যও দিনটি মোটেই সুখকর ছিল না। মাঠে প্রবেশের সময় আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের দুয়ো ধ্বনিও শুনতে হয়েছে, যখন আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় তখন বেশীরভাগ সমর্থককেই মরক্কোকে সমর্থন করতে দেখা গেছে।
ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন কোচ হেভিয়ার মাচেরানো অভিযোগ করে বলেন, “এটা একটা সার্কাস। কোনভাবেই তারা আমাদের বৈধ গোলটি বাতিল করতে পারে না। ছোট টুর্নামেন্টেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে না। এটা সত্যিই হতাশার। অলিম্পিকের স্পিরিটকে ছাপিয়ে আয়োজকদের আরো মানসম্পন্ন আচরণ করতে হবে। দূর্ভাগ্যবশতঃ এ মুহূর্তে তাদের সেই মান প্রকাশ পায়নি।”