দর্শণার্থীদের ভিড়ে মাঠে খেলা গড়িয়েছিল এক ঘণ্টা ২২ মিনিট পর। গোল পেলেও অফসাইটের কারণে বাতিল হওয়ায় নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য ব্যবধানে শেষ হয়। কলম্বিয়ার বিপক্ষে উত্তেজনাকর এ ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের ২২তম মিনিটে লাওতারো মার্টিনেজের গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা।
মেসি-দি মারিয়াদের এটি ত্রিমুকুট জয়। মহাদেশীয় শিরোপা, বিশ্বকাপ, আবার মহাদেশীয় শিরোপা অর্জন করলো তারা। যা স্পেনের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ত্রিমুকুট জয়ের রেকর্ড এখন আর্জেন্টিনার দখলে।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের প্রথমার্ধে সমানে সমান লড়াই করেছে দুই দল। তবে সেমিদের চেয়ে কলম্বিয়া বেশি সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেনি। প্রথমার্ধে বল দখলেও এগিয়ে ছিল (৫২.২ শতাংশ) কলম্বিয়া। বিপরীতে শিরোপা জয়ী আর্জেন্টিনাও বেশ কয়েকটি সুযোগ মিস করছে।
ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটে আর্জেন্টিার গোলবারে ৮ বার শট নিয়েছিল কলম্বিয়া। তবে সফল হতে পারেনি। বিপরীতে আর্জেন্টিনা নিতে পেরেছিল মাত্র ৩টি শট। কোন দলই সফল হতে না পারায় গোলশূন্য ব্যবধানে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চালায় দুই দল। ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি। অধিনায়কের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন নিকো গঞ্জালেস।
দলকে কোন গোল উপহার দিতে না পেরেই মাঠের বাইরে চলে যাওয়া মেসিকে সাইডবেঞ্চে বসে কাঁদতে দেখা যায়। মেসি ওঠে যাওয়ায় ৯ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মেসিকে হারিয়ে কান্না করা দর্শকরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। তবে অফসাইটের কারণে গোলটি বাতিল হলে গোলশূন্য ব্যবধানেই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা।
অতিরিক্ত সময়েও কোন দল গোল না পাওয়ায় মনে হচ্ছির শেষ মুহূর্তে টাইব্রেকারের দিকেই যাবে কোপা আমেরিকার এ ফাইনাল ম্যাচ। তবে ম্যাচের ১১২তম মিনিটে আকাশী-নীল জার্সিধারীতের সত্যিকারের উল্লাসে মাতান মার্টিনেজ।
লো সেলসোর পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জয়সূহক একমাত্র গোলটি করেন মার্টিনেজ। পুরো স্টেডিয়ামের সাথে উল্লাসে মেতে ওঠেন আর্জেন্টাইন ভক্তরা। শেষ দিকে আর কোন গোল না হওয়া ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
২০২১ সালে কোপা আমেরিকার পর ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করা আর্জেন্টিনা এবার জিতল ২০২৪ কোপা আমেরিকা।