কোপা আমেরিকার কোয়াটার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল ব্রাজিল। গোলশূন্য ড্রয়ের পর পেনাল্টিতে ব্রাজিলকে ৪-২ ব্যবধানে পরাজিত করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে উরুগুয়ে। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার নাহিতান নানডেজ সরাসরি লাল কার্ড পেলে ১০ জনের উরুগুয়ের জালে কোন বল জড়াতে পারেনি ব্রাজিল।
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের জন্য একটু আগে ভাগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ব্রাজিল ভক্তদের জন্য দারুণ হতাশার। একই সাথে এ হারের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হলো ডোরিভার জুনিয়রের অধীনে অপেক্ষাকৃত তারুণ্য নির্ভর দলটির আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে।
২০২৬ বিশ্বকাপে নিজেদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে এখন থেকে ব্রাজিলকে পরিকল্পনা শুরু করতে হবে। কোপা আমেরিকা থেকে বিদায় অন্তত এ শিক্ষা দিয়েছে সেলেসাওদের। অন্যথায় হয়তোবা বিশ্বকাপের মতো আসরেও ভক্তদের হতাশ করতে পারে এই ব্রাজিল।
কোপার এ ম্যাচে সব মিলিয়ে দুই দল ৪১টি ফাউল করেছে, এতে ফুটবলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য অনেকটা নষ্ট হয়েছে। অনেকটাই অপরিচিত মাঠে কোন দলই নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। তবে দুই দলের ফুটবলাদের মাঝে শরীরী ভাষা ছিল ভিন্ন।
“আমাদের আরও ধৈর্য্য ধরতে হবে। বিশ্বকাপের আগে এখনো হাতে দুই বছর সময় বাকি আছে। প্রথমত আমদেরকে বাছাইপর্বের বাঁধা পেরুতে হবে।”
- ডোরিভাল জুনিয়র
একের পর এক ফাউলের কারণে ম্যাচের গতি প্রায়ই বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রডরিগোকে বাজেভাবে ট্যাকেলের কারণে ভিএআর রিভিউ নানডেজকে লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত দেয়। এই ঘটনার পর উরুগুয়ে কোনমতে নির্ধারিত সময় শেষ করে পেনাল্টিতে ম্যাচটিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। এতে তারা সফলও হয়।
পেনাল্টিতে ফেডেরিকো ভালভার্দে প্রথম স্পট কিকে সফল হন। বিপরীতে এডার মিলিটাওয়ের শট ডাইভ দিয়ে সেভ করেন রোশে। ব্রাজিলের হয়ে তৃতীয় শটটি ডগলাস লুইজ পোস্টে লাগান।
৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সময় হোসে জিমিনেজের সামনে সুযোগ আসে উরুগুয়েকে জয় উপহারের। তবে তার শটটি দুর্দান্তভাবে রক্ষা করেন এ্যালিসন বেকার। বদলী খেলোয়াড় গাব্রিয়েল মার্টিনেলি গোল করে ব্রাজিলের আশা টিকিয়ে রাখেন।
এরপর উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল উগার্তে তার শটটি নিতে কোন ভুল করেননি। আর এতেই ১৫-বারের কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়নদের শেষ চার নিশ্চিত হয়।
দলের বিদায় কোনভাবেই সন্তুষ্ট হতে পারছেন না ব্রাজিলিয়ান কোচ ডোরিভাল জুনিয়র। তিনি বলেন, “আমরা অপরাজিত থেকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিচ্ছি। তবে এতে আমি সন্তুষ্ট নই। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে আমরা মোটেই সেই মানের খেলা উপহার দিতে পারিনি।”
২০২৬ বিশ্বকাপের আগে দলের এমন বিদায় তিনি বলেন, “আমাদের আরও ধৈর্য্য ধরতে হবে। বিশ্বকাপের আগে এখনো হাতে দুই বছর সময় বাকি আছে। প্রথমত আমদেরকে বাছাইপর্বের বাঁধা পেরুতে হবে। এ মুহূর্তে দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে আমরা টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই এ পজিশন আমাদের অস্বস্তি তৈরি করলো।”