আক্রমণের পর আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না বিশ্ব চ্যম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত বদলী খেলোয়াড় লটারো মার্টিনেজের ৮৮তম মিনিটের গোলে চিলিকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে আর্জেন্টিনা। টানা এ দ্বিতীয় জয়ে সবার আগে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মেসিরা।
লিওনেল মেসি প্রথমার্ধে পোস্টে বল না লাগালে জয়ের ব্যবধান হয়তো বাড়তে পারতো। এ ম্যাচে জয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সহযোগিতা করেছেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তবে শেষ পর্যন্ত নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ৮২ হাজার সমর্থকদের সামনে উৎসবের ক্ষন উপহার দেন লটারো।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) দিনগত রাতে ম্যাচের শুরু থেকেই ১৫ বারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ চিলির উপর চেপে বসে। কিন্তু একের পর এক বাজে ফিনিশিংয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতাশ হতে হয়। চিলির ৪১ বছর বয়সী গোলরক্ষক ক্লডিও ব্র্যাভোর উজ্জীবিত পারফরমেন্সও আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে যেতে বাঁধা দিয়েছে।
এ ভেন্যুতেই ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। স্টেডিয়ামটি আর্জেন্টিনার হোম ভেন্যুতে পরিনত হয়েছিল। প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে আকাশী-নীল জার্সি পরিহিত আর্জেন্টাইন সমর্থকের অভাব ছিল না।
২২তম মিনিটে আক্রমণভাগে মেসির স্ট্রাইকিং পার্টনার জুলিয়ান আলভারেজের শট রুখে দেন ব্র্যাভো। নিকোলাস গঞ্জালেজের প্রথম সুযোগের শটটি বাইলাইন থেকে ক্লিয়ার হয়। মেসিকে আটকে রাখার ক্ষেত্রে চিলির রক্ষণভাগ বেশ সাহসিকতা দেখিয়েছে। এতে তারা বেশিরভাগ সময় সফলও ছিল।
সারাক্ষণই মেসিকে ঘিড়ে রেখেছিল তিনজন ডিফেন্ডার। তবে এর মধ্যে থেকেও ৩৬ মিনিটে অল্পের জন্য গোলের দেখা পাননি আটবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসি। ২৫ গজ থেকে তার শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে দুইবার কোপা আমেরিকা ফাইনালে চিলি আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিততে দেয়নি। এর মধ্যে ২০১৬ সালে এই মেটলাইফ স্টেডিয়ামে হারের পর মেসি জাতীয় দল থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়েছিলেন। কিন্তু যখনই চিলি জেদী ভাব প্রমাণ করে তখনই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ঘুড়ে দাঁড়নোর পথ ঠিকই খুঁজে পায়।
গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধে চিলি উপর চেপে বসে। তবে এবারও ব্রাভো একাই আর্জেন্টিনার আক্রমণ প্রতিহত করতে সচেষ্ট হয়ে ওঠে। নাহুয়েল মোলিনাকে পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়ানে দেননি ব্রাভো।
ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে মেসির ইন-সুইং কর্ণার থেকে মার্টিনেজ জয়সূচক গোলটি করেন। ভিএআর দীর্ঘ সময় অফসাইড পজিশন পরীক্ষা করে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনাকে গোল উপহার দেন। ম্যাচর শেষ ভাগে এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার এ্যাসিস্টে লটারো ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেন।