শেষ মুহূর্তে গোলে বায়ার্নকে হারিয়ে ফাইনালে মাদ্রিদ

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ০৯ মে ২০২৪
শেষ মুহূর্তে গোলে বায়ার্নকে হারিয়ে ফাইনালে মাদ্রিদ

শেষ মুহূর্তে সুপার সাব হোসেলুর দুই গোলে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেমি-ফাইনালে দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে জয় নিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে মাদ্রিদ।

বুধবার (৮ মে) দিনগত রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আলফনসো ডেভিসের গোলে জার্মান জায়ান্টরা দ্বিতীয়ার্ধে লিড নিয়েছিল। তবে প্রতিপক্ষ দলটা যে রিয়াল মাদ্রিদ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যাদের ১৪ বারের শিরোপা জয়ের রেকর্ড রয়েছে।

নিজেদের মাঠে এভাবে বিদায় নেয়াটা অন্তত রিয়ালকে মানায় না, এ প্রতিজ্ঞা নিয়েই যেন শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। তার ফলও পেয়েছে। শেষ ১০ মিনিট বায়ার্নের উপর চেপে বসা রিয়াল ঠিকই গোল আদায় করে নিয়েছে। ৮৮ ও ৯১ মিনিটে বদলী খেলোয়াড় জোসেলুর দুই গোলে নাটকীয় এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোসরা।

১ জুন ওয়েম্বলির ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ জার্মানির আরেক ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্রথম সেমি-ফাইনালে পিএসজিকে বিদায় করে ১১ বছর পর ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে ডর্টমুন্ড।

মাদ্রিদ শেষ পর্যন্ত সফল হলেও সার্জি গ্যানাব্রির ইনজুরিতে ২৭ মিনিটে মাঠে নামা কানাডিয়ান ডিফেন্ডার আলফোনসো ডেভিসের দুর্দান্ত গোলটিও অনেকদিন সবাই মনে রাখবে। ৬৮ মিনিটে ডেভিসের গোলে বায়ার্ন যখন এগিয়ে যায় তখন ২০১৩ সালের লন্ডনে অল-জার্মান ফাইনালের স্মৃতি আবারো ফিরে এসেছিল। তবে ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো বাকি।

২০১২ সালের পর এ প্রথম বায়ার্ন কোন শিরোপা ছাড়া মৌসুম শেষ করতে যাচ্ছে। বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের হাত ফসকে যাওয়া বল জালে ঠেলে দিয়ে হোসেলু প্রথমে মাদ্রিদের পক্ষে সমতা ফেরান। এই গোলের আগে অনেকবারই বায়ার্নকে একাই রক্ষা করেছেন নয়্যার।

ম্যাচের ৮১তম মিনিটে তিনি ভালভার্দের পরিবর্তে হোসেলুকে মাঠে নামান। আর এতেই রিয়ালের ভাগ্যের চাকা ঘুড়ে যায়। ভিনিসিয়াসের স্ট্রাইক নয়্যার আটকাতে গিয়ে হাত ফসকে বল বেরিয়ে গেলে পোস্টের কাছে থেকে হোসেলু বল জালে জড়ান।

দ্বিতীয় বিভাগের দল এস্পানিয়ল থেকে ধারে খেলতে আসা হোসেলু এরপর ইনজুরি টাইনে এন্টোনিও রুডিগারের পাসে রিয়ালকে জয়সূচক গোলটি উপহার দিয়েছেন। যদিও অফসাইডের কারণে প্রথমে গোলটি বাতিল করা হয়েছিল। তবে রিভিউ দেখে গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।

ইনজুরি টাইমে প্রায় ১৫ মিনিট খেলা হয়েছে। এ সময় ডি লিট বায়ার্নকে একটি গোলও উপহার দিয়েছিলেন। তবে লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা ওঠানোয় সেই গোলটি বাতিল করা হয়, যা নিয়ে ম্যাচ শেষে টাচেল বেশ সমালোচনা করেছেন।



শেয়ার করুন :