ক্লাব সাফল্য জাতীয় দলেও ধরে রাখতে পারলে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয় নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করেন ম্যানচেস্টার সিটি ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা। স্প্যানিশ এ কোচ মনে করেন, জাতীয় দলের কোচ গ্যারেথ সাউথগেটও ‘ব্যর্থতাকে পুঁজি করে’ সামনে এগিয়ে যেতে পারলে শিরোপা জয় অসম্ভব কিছু নয়।
বেশ কয়েকবার শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হওয়ার পর গার্দিওলার অধীনে শেষ পর্যন্ত গত মৌসুমে প্রথমবারের মত সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি জয় করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
২০২১ সালে ওয়েম্বলিতে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে পেনাল্টিতে ইতালির কাছে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া ও ২০২২ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয় ইংলিশদের।
গার্দিওলা বলেন, “ইংল্যান্ড সত্যিই দারুণ একটি দল। এখানে শুধুমাত্র প্রতিভাবান স্ট্রাইকারই নয়, পুরো দলই একটি গ্রুপ হিসেবে অসাধারণ। গ্যারেথ জানে ঠিক কী করলে দলের সাফল্য আসবে। সে কারণেই আমার মনে হয় এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ও ইউরোতে ইংল্যান্ডের যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো তারা শুধরে নিতে পেরেছে।”
তিনি বলেন, “তারা শিরোপার একেবারেই কাছাকাছি রয়েছে। ফাইনালে পরাজিত হয়েছে, সেমিফাইনালে খেলেছে। প্রতি দুই বছরে একটি দল যখন এ পর্যায়ে খেলবে তখন সেই দলটির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। এটা অনেকটাই আমাদের মতো চিত্র। আমরা শিরোপা কাছাকাছি গিয়েও তা হাতে নিতে পারিনি, শেষ পর্যন্ত সেটা ধরা দিয়েছে।”
গার্দিওলার বিশ্বাস ফুটবলের প্রতি ইংলিশদের যে ভালোবাসা তা অনেক সময় বড় টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। তবে এবার ইউরোতে সেই প্রত্যাশার চাপকে সামলে দল অবশ্যই ভালো কিছু করবে বলে গার্দিওলা আশাবাদী।
সিটি বস বলেন, “ইউরোপীয়ান কাপ কিংবা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড যখন খেলতে নামে তখন সমর্থকদের অনুভূতি আমি দেখেছি। তারা একেবারে পাগল হয়ে যায়, জাতীয় দলের জন্য তারা যেকোন কিছু করতে পারে। এতে এটাই প্রমাণ হয় যে জাতীয় দলকে নিয়ে তারা কতটা গর্বিত।”
তিনি আরও বলেন, “একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবেও এ অনুভূতি সত্যিই অনুপ্রেরণার। পুরো দেশ তার দিকে তাকিয়ে আছে। বড় আসরে শেষ পর্যন্ত খেলতে পারাটাও গর্বের। শুধু এ আত্মবিশ্বাস মনের মধ্যে রাখতে হবে, আমরাও পারবো।”