কিলিয়ান এমবাপ্পের দুই গোলে রিয়াল সোসিয়েদাদকে শেষ ষোলর দ্বিতীয় লেগে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পিএসজি। মৌসুমের শেষে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ম্যাচে এমবাপ্পেকে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে রাখেননি। তবে ফরাসি অধিনায়ক ওই ম্যাচগুলোর প্রায় প্রতিটিতেই প্রমাণ করেছেন কী মানের খেলোয়াড়র তিনি।
উত্তর স্পেনে সোসিয়েদাদের মাঠে লিগ ওয়ানের লিডারদের জন্য রাতটা একেবারেই সহজ করে দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। ১৫ ও ৫৬ মিনিট দুই গোল করে তিনি দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা পেতে হলে দলে তার গুরুত্ব কতটুকু সেটা বেশ ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে ক্যানাল প্লাসকে এমবাপ্পে বলেছেন, “আমরা খুবই খুশি। এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। আমরা আগে নক আউট পর্বে খেলতে চেয়েছি। তবে একইসাথে আজকের জয়টাই চেয়েছি। আজকের ম্যাচটা আমাদের জন্য কিছুটা হলেও সহজ ছিল। সবাই মিলে ম্যাচটাকে সহজ করে তুলেছিলাম। আমাদের ম্যাচ পরিকল্পনা একেবারে স্পষ্ট ছিল। শুরুতেই গোল করতে চেয়েছি। সব মিলিয়ে যেকোন ধরনের বড় বিপদ এড়াতে চেয়েছিলাম।”
মৌসুম শেষে এমবাপ্পের পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত বলে ট্রান্সফার মার্কেটে জোড় গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ ম্যাচে এমবাপ্পে যেভাবে একের পর এক আক্রমণে সোসিয়েদাদের রক্ষণভাগকে এলেমেলো করে দিয়েছে, তাতে আগামী মৌসুমে হয়তো লা লিগার প্রতিপক্ষ দলগুলোকে মাদ্রিদকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
প্রথম লেগেও এমবাপ্পে গোল করেছিলেন। ম্যাচে অবশ্য পুরো সময়ই তাকে খেলিয়েছেন এনরিকে। প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে জয়ী হবার পর কোয়ার্টার ফাইনালে পথে অনেকটাই এগিয়ে ছিল প্যারিসের জায়ান্টরা। ১৫ মিনিটে ওসমানে ডেম্বেলে এ্যাসিস্টে সোসিয়েদাদের দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে কোনাকুনি শটে জালে জড়ান এমবাপ্পে। ২৯ মিনিটে ব্র্যাডলি বারকোলার পাস থেকে দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু এবার তার শটটি দারুনভাবে রুখে দেন সোসিয়েদাদ গোলরক্ষক এ্যালেক্স রেমিরো।
দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটে পিএসজি ব্যবধান দ্বিগুণ করে। লি ক্যাং-ইনের সহায়তায় পোস্টের কাছে থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল পূরণ করেন এমবাপ্পে। ফরাসি তারকার জোড়া গোলে পিএসজির শেষ আট নিশ্চিত হয়। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে সোসিয়েদাদ পিএসজির উপর চাপ সৃষ্টি করলেও তখন কার্যত ম্যাচে ফিরে আসার আর সময় ছিল না।
বদলী খেলোয়াড় এ্যান্ডার বারেনেটেক্সার গোল অল্পের জন্য অফসাইডের কারনে বাতিল হয়ে যায়। বেনাট টুরিয়েনটেসের শট দারুণভাবে সেভ করেন গিয়ানলুইগি ডোনারুমা। স্বাগতিকরা শেষ পর্যন্ত অবশ্য সান্তনার একটি গোল পেয়েছে। সোসিয়েদাদের একটি ক্রস ডোনারুমা রুখে দিলে বক্সের মাঝামাঝিতে থাকা মিকেল মেরিনো ফিরতি বলে তা জালে জড়ান।