২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করতে চায় সৌদি আরব। দেশটি ইতিমধ্যে সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছে। সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশনের (এসএএফএফ) পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পুরুষ ও নারী ফুটবলে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছি সৌদি।
বিশ্বকাপ আয়োজনে ২০২৩ সালের অক্টোবরে একক বিডার হিসেবে শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ এ দেশটির নাম এসেছিল। সে সময় ফিফার ডেডলাইন শেষ হওয়ার প্রাক্কালে অস্ট্রেলিয়া লড়াই থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়। এখন এ বছরের শেষে ফিফা কংগ্রেসে স্বাগতিক দেশের নাম ঘোষণা করা হবে।
সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশনের (এসএএফএফ) সভাপতি ইয়াসির আল মিসেহাল আশা প্রকাশ করেছেন যে, দেশটির দ্রুত রূপান্তরের কারণে বিড সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌদি ফুটবল প্রধান বলেন, “এক্ষেত্রে আমাদের ফুটবল গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ ও নারী ফুটবলে আমরা অভূতপূর্ব উন্নতি করেছি। পুরো বিশ্বকে আমাদের এ চমৎকার যাত্রার সাথে যোগ করতে বিডে উন্মুক্ত আমন্ত্রণ থাকবে।”
বিডিংয়ে একক প্রার্থী থাকলেও ফিফার আইনানুযায়ী টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হলে সৌদি আরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিডে অংশ নিতে হবে। সৌদি আরবের বিডের মূল স্লোগান হলো, ‘ক্রমবর্ধমান। একসাথে।’। এখানে রাজ্য, তার জনগণ ও বিশ্ব ফুটবলের মধ্যে একটি সম্পর্ক তৈরির বন্ধন গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।
২০২১ সালের পর থেকে ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতির জন্য সৌদি আরব প্রায় ৫ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দেশটির যুবরাজ ক্রীড়াঙ্গনকে মূল মন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাতে সৌদি আরব ইতোমধ্যে লাভবানও হয়েছে।
ফুটবল, ফমূর্লা ওয়ান, গলফ, বক্সিংয়ের বেশ কিছু বড় ইভেন্ট সম্প্রতি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সৌদি পেশাদার লিগে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড তারা কিনে নিয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের এসব বড় ইভেন্টের মাধ্যমে দেশটির পর্যটন শিল্পেরও উন্নতি হয়েছে।