লা লিগায় শীর্ষে থাকা দুই দল বার্সেলোনা ও ভ্যালেন্সিয়ার দ্বৈরথ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবতই জল্পনা কল্পনা চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে কোন দলই জিততে পারেনি।
জোর্দি আলবার শেষের দিকের গোলে বার্সেলোনা ম্যাচ বাঁচালেও ভ্যালেন্সিয়াকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে লিগের শীর্ষে থাকা অপর দলগুলো। যদিও গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় লিয়নেল মেসির প্রথমার্ধের একটি গোল স্পষ্টভাবে গোললাইন অতিক্রম করলেও রেফারি তা নাকচ করে দেন। ফলে মেসির সাথে সাথে দূর্ভাগ্যের রোষানলে পড়ে বার্সা।
ভিডিও ফুটেজে বারবার মেসির এই গোলটি দেখানোয় হতাশায় ডুবেছে বার্সা সমর্থকরা। ইউরোপের অন্যান্য মেজর লিগে ইতোমধ্যেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হলেও এখন লা লিগায়ও এর ব্যবহারের জোড় দাবি উঠেছে। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হওয়া বার্সেলোনা এক পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার তুলনায় চার পয়েন্টই এগিয়ে থাকলো।
৬০ মিনিটে রডরিগোর গোলে ভ্যালেন্সিয়া যখন এগিয়ে যায় তখন বার্সেলোনা শিবিরে হতাশা যেন আরো জেঁকে বসে। কিন্তু ৮২ মিনিটে মেসির সহায়তায় আলবা গোল করলে স্বস্তি ফিরে পায় আর্নেস্টো ভালভার্দের দল। এর ফলে লা লিগায় এখনো দুই দল অপরাজিত থাকলো। এই নিয়ে ১৩ ম্যাচে দ্বিতীয় ড্র পেল বার্সেলোনা। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদের থেকে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান আট।
ম্যাচ শেষে বার্সার ত্রানকর্তা আলবা বলেছেন, ‘রেফারির জন্য এটা স্মরণীয় একটি ভুল ছিল। এমনকি আমিও মাঠের মাঝখান থেকে স্পষ্টভাবে গোলটি দেখেছি। বিরতির সময় আমরা রিপ্লেতে গোলটি দেখার পরে হতাশা আরো বেড়েছে। সে কারনেই আগামী মৌসুমে লা লিগায় ভিডিও এসিসটেন্ট রেফারিং (ভিএআর) এর প্রয়োজনীয়তা অত্যবশকীয় হয়ে পড়েছে। এই প্রযুক্তি দিন শেষে ফুটবলকেই সহযোগিতা করবে। আর এর মাধ্যমে আজকের মত ঘটনাগুলোও কমে আসবে।’
নিষেধাজ্ঞার কারণে কালকের ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন না জেরার্ড পিকে। আর এর ফলে প্রায় দুই বছর পরে মূল একাদশে রক্ষনভাগের দায়িত্বে ছিলেন থমাস ভারমালেন। যদিও সফরকারীদরে রক্ষণভাগে প্রথম ৪৫ মিনিট তেমন কোন আক্রমণ শানাতে পারেনি ভ্যালেন্সিয়া। এ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ছিল বার্সার অধীনে। যদিও সুস্পষ্ট কোন সুযোগের অভাবে কাঙ্খিত গোল আসেনি।
বিরতির পরে ভ্যালেন্সিয়া দারুন উজ্জীবিত একটি দল হিসেবে মাঠে নামে। একের পর এক আক্রমণে বার্সা শিবিরে ভীতি ধরিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। তারই ধারবাহিকতায় সিমোনে জাজার শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায় ও ৫৮ মিনিটে গনসালোা গুয়েডেস অবশেষে মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগানের পরীক্ষা নেন। দুই মিনিট পরে শেষ পর্যন্ত ডেডলক ভাঙ্গেন রডরিগো। প্যারিস সেইস্ট-জার্মেই থেকে ধারে খেলতে আসা গুয়েডেসের পাস থেকে জোসে গায়ার লো ক্রসকে গোলে পরিণত করেন রডরিগো।