প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার রাসমাস হোলান্ড। ড্যানিশ এ তরুণ স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে রোববার লুটনকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে ইউনাইটেড।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে টান ছয় ম্যাচে গোলের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন হোলান্ড। কেনিলওয়ার্থ রোর্ডে প্রথম সাত মিনিটে করেছেন দুই গোল।
২১ বছর ১৪ দিন বয়সে হোলান্ড গোল করার মাধ্যমে নিউক্যাসল মিডফিল্ডার জো উইলককের ২১ বছর ২৭২ দিন বয়সের আগের রেকর্ড ভেঙেছেন।
২০০৩ সালে টানা ১০ ম্যাচে গোল করে ইউনাইটেডের হয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন রুড ফন নিস্তেরলয়। ২০১৫ সালে ১১ ম্যাচে গোল করে প্রিমিয়ার লিগে লিস্টারের জেমি ভার্দি সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছিলেন যা এখনো অক্ষুন্ন আছে।
আগস্টে আটালান্টা থেকে ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর প্রথম ১৪ লিগ ম্যাচে কোন গোল করতে পারেননি হোলান্ড। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ আট ম্যাচে তিনি আট গোল করেছেন।
তার জোড়া গোলে ইউনাইটেডের ম্যাচের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া উচিৎ ছিল। তবে ১৪ মিনিটে কার্লটন মরিসের গোলে লুটন দারুণভাবে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়।
টেবিলের তলানি থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা লুটনের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ভাগটা বেশ টেনশনে কাটাতে হয়েছে ইউনাইটেডকে। একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট করে কার্যত ইউনাইটেড নিজেরাই ম্যাচটি কঠিন করে তুলে।
হোলান্ডের মানসিকতার প্রশংসা করে ইউনাইটডে কোচ এরিক টেন হাগ বলেছেন, “আমরা তাকে বুঝে-শুনেই তার দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা জানি এক্ষেত্রে সে কতটা শক্তিশালী। চাপের মধ্যে থেকে সে সত্যিই দারুণ পারফর্ম করে। ম্যান ইউনাইটেডের একজন স্ট্রাইকারের কাছ থেকে এটাই সবাই প্রত্যাশা করে। সে কখনই নার্ভাস হয় না, আত্মবিশ্বাস হারায় না। তার মধ্যে প্রচুর আত্মবিশ্বাস রয়েছে। আমি নিশ্চিত সে আরো বেশি গোল করবে।”
হোলান্ড বলেছেন, “আমি সতীর্থদের ও কোচকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারন তারা আমার উপর আস্থা রেখেছে, আমাকে বিশ্বাস করেছে। আমি জানতাম গোলের দেখা আমি পাবো। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে গোল করতে না পারা সত্যিই হতাশার।”