জানুয়ারিতে শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো উন্মুক্ত হলে নিজেদের মধ্য মাঠকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করছে আর্সেনাল। এ ক্ষেত্রে ক্লাবটির পছন্দের তালিকায় প্রথম রয়েছেন ডগলাস লুইজ। তবে এটা বাস্তবায়ন হলে শঙ্কা পড়বে থমাস পার্টের ভবিষ্যৎ। ক্লাবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদ মাধ্যমে এমন তথ্য জানিয়েছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে লুইজের জন্য দেওয়া আর্সেনালের তিনটি প্রস্তাবই বাতিল হয়ে যায়। এর মধ্যে সর্বশেষ ব্রাজিলিয়ান এ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের জন্য ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এরপরপরই ভিলা পার্কের সাথে ২০২৬ সাল পর্যন্ত নুতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন লুইজ।
এবারের মৌসুমে উনাই এমেরির দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন লুইজ। প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচের সবকটিতেই তিনি মূল দলে খেলেছেন। এর মধ্যে টটেনহ্যামের বিপক্ষে রোববার ২-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিও রয়েছে।
আর্সেনাল এখনো তার ব্যাপারে আগ্রহ ধরে রেখেছে। ভিলাকে আশ্বস্ত করতে ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও বেশি অর্থের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে গানার্সরা। শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবে ভিলা সম্মত হলে মৌসুমের মাঝামাঝি সময় দারুণ এক সময় ছেড়ে লুইজকে আর্সেনালে পাড়ি জমাতে হবে।
এবারের গ্রীষ্মে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি ব্যয় হয়ে যাওয়ায় দলবদলের বাজারে আর্সেনালের হাতে অর্থের পরিমাণও সীমিত হয়ে গেছে। ব্রেন্টফোর্ড থেকে গোলরক্ষক ডেভিড রায়াকে প্রাথমিকভাবে ৩ মিলিয়ন পাউন্ডের ধারে নেওয়া হয়েছে। চুক্তিতে তাকে স্থায়ী করার শর্তাবলী রয়েছে। আর সেটা করতে হলে ২৭ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করতে হতে পারে।
তবে পার্টের বিদায়ে নতুন চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়ের জন্য অর্থ বাড়াতে পারে গানার্সরা। এবারের মৌসুমে মিডফিল্ডার পার্টে মাত্র তিনটি লিগ ম্যাচ খেলেছেন। ক্রমাগত ইনজুরি তাকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে নতুন বছরের আগ পর্যন্ত ৩০ বছর বয়সী পার্টেকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
১৩ জানুয়ারি ও ১১ ফেব্রয়ারি আফ্রিকান নেশন্স কাপে ঘানার হয়ে তার মাঠে ফেরার আশা করা হচ্ছে। ইতালিয়ান গণমাধ্যমের বিভিন্ন সূত্রমতে জানা গেছে জুভেনটাস পার্টেকে দলে পেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। গ্রীষ্মে এ মিডফিল্ডারকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু তাদের প্রস্তাব বিভিন্ন কারনে বাতিল হয়ে যায়।
সৌদি আরবের লিগ থেকেও পার্টের ব্যপারে আগ্রহ দেখানো হয়েছিল। আর্সেনালও এ মুহূর্তে তাকে ধরে রাখতে চায়। তবে সেক্ষেত্রে লুইজকে দলে নেওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। কোচ মাইকেল আর্তেতার আগ্রহে শুধুমাত্র মিডফিল্ডার নয়, ব্রেন্টফোর্ড স্ট্রাইকার ইভান টনি ও উলফস উইঙ্গার প্রেডো নেটোকে দল ভুক্তি তালিকায় উপরের দিকেই রেখেছে আর্সেনাল।